অক্ষয়-টুইঙ্কল। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল অভিনেতা অক্ষয় কুমার। পেশাগত জীবনে সাফল্য অর্জন তো করেছেন বটেই। পাশাপাশি, দু’দশকের বেশি সময় ধরে টুইঙ্কল খন্নার সঙ্গে চুটিয়ে সংসারও করছেন বলিউডের ‘খিলাড়ি’। ২০০১ সালে প্রয়াত বলিউড তারকা রাজেশ খন্নার মেয়ে টুইঙ্কলকে বিয়ে করেন অক্ষয়। চলতি বছরে ২২ বছরে পা যুগলের দাম্পত্য জীবনের। বিয়ের আগে একাধিক নায়িকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালেও টুইঙ্কলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর থেকে ঘোরতর সংসারী অক্ষয়। স্ত্রীকে প্রায় চোখে হারান তিনি। তবে স্ত্রীর সঙ্গে যে কোনও বিষয় নিয়ে মতবিরোধ হয় না তাঁর, তা নয়। স্বামী-স্ত্রীর রাজনৈতিক মতাদর্শের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। তার পরেও কী ভাবে সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন অক্ষয় ও টুইঙ্কল?
অক্ষয়ের রাজনৈতিক অবস্থান বলিপাড়ায় সুবিদিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নিজে প্রশংসা করেছেন অক্ষয়ের ছবির। অন্য দিকে, টুইঙ্কল এক সময় ছবিতে অভিনয় করলেও এখন লেখিকা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। তাঁর রাজনৈতির মতাদর্শ অক্ষয়ের সঙ্গে একেবারেই মেলেনা। তার পরেও কী করে সুখে-শান্তিতে সংসার করেন যুগল? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন অক্ষয়। উত্তরে তারকা বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীর রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা আমার থেকে আলাদা। তবে আমরা একে অপরের উপর নিজেদের মত চাপিয়ে দিই না। আমরা চেষ্টা করি রাজনৈতিক আলোচনা যতটা এড়িয়ে চলা যায়। এটাই একমাত্র আলোচনার বিষয়, যেটা আমরা এড়িয়ে চলি।’’ তবে কি সুখী দাম্পত্য জীবনের রহস্য এটাই? অক্ষয়ের কথায়, ‘‘অনেকেই বলেন, শান্তিতে সংসার করতে হলে সব বিষয়ে খোলামেলা ভাবে কথা বলতে পারা জরুরি। আমার মনে হয়, কিছু কিছু বিষয়ে আলোচনা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।’’
মোদী সরকারের প্রচার বাড়াতেই নাকি তিনি ছবি করেন, এমন অভিযোগ একাধিক বার উঠেছে অক্ষয়ের বিরুদ্ধে। দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে নিজের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেতা। অক্ষয় বলেন, ‘‘আমি জানি অনেকেই ভাবেন, স্বচ্ছ ভারত মিশনের প্রচার বাড়াতে আমি ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’ ছবি করেছিলাম। ভারতের মার্স মিশন অবলম্বনে ‘মিশন মঙ্গল’ ছবি করেছিলাম। বিষয়টা এমন নয়। আমি ‘এয়ারলিফ্ট’-এর মতো ছবিও করেছি, তখন কংগ্রেসের সরকার ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy