একটা সময় নায়িকার যাবতীয় কাজকর্ম সামলাতেন তিনিই। খবর, আলিয়া ভট্টের সেই প্রাক্তন আপ্তসহায়ক বেদিকা শেট্টি সকলের অজান্তে আলিয়ার প্রযোজনা সংস্থা, ইটারনাল সানশাইন প্রোডাকশনস প্রাইভেট লিমিটেড এবং তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৮৯২ টাকা তছরুপ করেছেন! আলিয়ার মা এবং প্রযোজনা সংস্থার অন্যতম কর্ণধার সোনি রাজদান বছরের শুরুতে জুহু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তখনই প্রকাশ্যে আসে বেদিকার কুকীর্তি।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ২০২২ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের অগস্ট— দু’বছর ধরে বেদিকা জালিয়াতি চালান। কাকপক্ষী টের পায়নি। প্রশাসন সূত্রে খবর, অবশেষে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। পাঁচ দিনের ট্রানজ়িট রিমান্ডে মুম্বইয়ে আনা হয়েছে বেদিকাকে। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়।
আরও পড়ুন:
খবর, ইতিমধ্যেই বেদিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬ (ফৌজদারি বিশ্বাস লঙ্ঘন) এবং ৪২০ (প্রতারণা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, মারোলের এনজি কোঅপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি রোডের বাসিন্দা বেদিকা। পরিকল্পিত ভাবেই তিনি আলিয়া এবং তাঁর প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। নায়িকার সচিব হিসাবে তাঁর উপর আর্থিক লেনদেনের গুরুদায়িত্ব দিয়েছিলেন আলিয়া। যার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন আপ্তসহায়কের বিরুদ্ধে।
এ প্রসঙ্গে অবশ্য আলিয়ার কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।