Advertisement
০২ মে ২০২৪

হৃতিকের নালিশ, বয়ান নেওয়া হবে কঙ্গনারও

সম্পর্কটা শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। কিন্তু একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়িটা জারি রয়েছে এখনও।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:১১
Share: Save:

সম্পর্কটা শেষ হয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। কিন্তু একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়িটা জারি রয়েছে এখনও।

হৃতিক রোশন আর কঙ্গনা রানাউতের দ্বৈরথ থামার নাম নিচ্ছে না। আইনি লড়াইয়ে এ বার কঙ্গনা আর তাঁর দিদি রঙ্গোলির বয়ান রেকর্ড করার পালা। তাই সদ্য জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এই অভিনেত্রী আর তাঁর দিদিকে ডেকে পাঠাল মুম্বই পুলিশ। পুরোটাই হৃতিকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে। যদিও কঙ্গনার নাম না করে হৃতিক অভিযোগটা দায়ের করেছেন কয়েক জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

আগেই তাঁরা একে অপরকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন। এমনকী কঙ্গনার মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন হৃতিক। তখন হৃতিকের বিরুদ্ধেও পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েননি কঙ্গনাও।

কিন্তু হৃতিক হঠাৎ এমন কী অভিযোগ দায়ের করলেন, যার জেরে অভিনেত্রী ও তাঁর দিদিকে ডেকে পাঠানো হল?

পুলিশ জানাচ্ছে, সম্প্রতি হৃতিক বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স থানায় বেশ কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিনেতার অভিযোগ, তাঁর নামে ভুয়ো ই-মেল অ্যাকাউন্ট খুলে কেউ বা কারা তাঁর ভক্তদের সঙ্গে মেল চালাচালি করেছে। হৃতিকের দাবি, যখন তাঁদের মধ্যে আইনি-যুদ্ধ শুরু হয়, তখন কঙ্গনার মুখ থেকেই প্রথম ওই মেল আইডি-র বিষয়ে জানতে পারেন তিনি।

কিন্তু কী বলছেন কঙ্গনার আইনজীবী? তিনি জানিয়েছেন, সাইবার অপরাধ শাখা কঙ্গনা এবং রঙ্গোলিকে ডেকে পাঠিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করার জন্য থানায় হাজিরা দিতেও বলা হয়েছে। সমনের পাল্টা জবাবে কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি আরও বলেন, ‘‘আমার মক্কেল এবং তাঁর দিদিকে যে সমন পাঠানো হয়েছে, তা বেআইনি। কারণ, পুলিশ কখনও এ ভাবে মেয়েদের থানায় ডেকে বয়ান নিতে পারে না। তা আইনবিরুদ্ধ।

আর কঙ্গনা তো নিজেই পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা বলেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

hrithik kangna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE