গৃহকর্মে ব্যস্ত
নাচ তো অনেকেই করে কিন্তু একটা চরিত্র ফুটিয়ে তোলা সহজ নয়। উদয়শঙ্কর যেমন খেটেছিলেন ওঁর পিছনে, তেমনই বৌদিও খুব খেটেছিলেন পারফেকশন আনার জন্য। আমরা তো দেখেছি দাদা কী অসম্ভব পরিশ্রম করাতেন। প্রচণ্ড রিহার্সাল করাতেন। ‘কল্পনা’-তে একটা সংলাপও আছে, ‘মেহনত করো।’ বৌদিকে তৈরিও করেছিলেন চাবুকের মতো। একবার মঞ্চে ‘সামান্য ক্ষতি’ চলছে। হঠাৎ বিকট এক আওয়াজ। সব লাইট বন্ধ করে দেওয়া হল, পর্দা ফেলে দেওয়া হল। বৌদি পড়ে গিয়েছিলেন। চোট পেয়েছিলেন। আমরা ভাবলাম অনুষ্ঠান হবে না। কিন্তু পনেরো মিনিটের মধ্যে উঠে দাঁড়িয়ে উনি আবার পারফর্ম করতে শুরু করেছিলেন। বিদেশে যখন অনুষ্ঠান করতাম, ওঁরা দু’জনে উইংসের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতেন, কেউ ফাঁকি দিচ্ছে কি না দেখার জন্য। ওঁরা ছিলেন প্রকৃত শিল্পী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy