মীনাকুমারীর জীবনীছবি নিয়ে চর্চা বহু দিন ধরেই চলছে। কাকে দেখা যাবে মুখ্য চরিত্রে? প্রথমে শোনা গিয়েছিল কৃতি সেননকে দেখা যাবে ‘তারকা’ অভিনেত্রীর চরিত্রে। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, কিয়ারা আ়়ডবাণীর কাছে গিয়েছে এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব। সম্ভবত, তিনি চুক্তি সইও করে ফেলেছেন। তবে এই সমস্ত আলোচনার মধ্যেই প্রকট হচ্ছে আরও এক নাম — তৃপ্তি ডিমড়ি।
সম্প্রতি, এক সাংবাদিক বৈঠকে অভিনেত্রী তৃপ্তি জানিয়েছেন, তিনি মীনাকুমারীর চরিত্র্রে অভিনয় করতে ইচ্ছুক। বৈগ্রহিক অভিনেত্রীদের জীবনীছবি পর্দায় ফুটিয়ে তোলার সুপ্ত বাসনা রয়েছে তাঁর মনে। ‘ধ়ড়ক ২’ ছবির এক সাংবাদিক বৈঠকে অভিনেত্রী বলেন, “জীবনীছবিতে অভিনয় করতে চাই। আমি মীনাকুমারীজি ও মধুবালাজির বড় ভক্ত। যদি ওঁদের নিয়ে কেউ জীবনীছবি তৈরি করেন, তা হলে আমি তার অংশ হতে চাইব।”
আরও পড়ুন:
অভিনেত্রী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কি বাড়তি চাপ তৈরি হয়? তাঁর কথায়, অভিনয়ের মুহূর্তে প্রবল চাপ থাকে। শুধুমাত্র নিজের সহ-অভিনেতার কাজের প্রতিক্রিয়া, নিজের সংলাপ, নিজের দৃশ্যই মাথায় ঘুরতে থাকে। “তবুও ওঁদের চরিত্রে অভিনয় করতে পারলে সেটা শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা হবে,” মত তৃপ্তির। বলিউডের প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম হলেন তৃপ্তি। একের পর এক বক্সঅফিস সফল ছবির পর একাধিক পরিচালকের পছন্দ তিনি। দর্শকের মনেও তাঁর স্থান তৈরি হয়েছে। ফলে এবার পরিচালক বা ছবির নির্মাতারা মীনাকুমারীর চরিত্রে অভিনেত্রী বাছাইয়ের বিষয়ে ফের চিন্তাভাবনা করেন কি না সেটাই দেখার।
হিন্দি সিনেদুনিয়ার অন্যতম তারকা মীনাকুমারী, পরিচিত ছিলেন ‘ট্র্যাজেডি কুইন’ নামে। ‘বৈজু বাওয়রা’, ‘পরিণীতা’, ‘কাজল’-এর মতো একাধিক সফল ছবিতে তাঁর অভিনয় বিশেষ প্রশংসা লাভ করেছিল। প্রায় দু’দশক ধরে চলা কর্মজীবন আচমকা থমকে যায় ৩৮ বছর বয়সে। অসময়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। তাঁর জীবনীছবি তৈরির দায়িত্ব নিয়েছেন পরিচালক সিদ্ধার্থ পি মলহোত্র।