ফাইল চিত্র
প্র: ‘লগান’-এর মতো আর একটা ছবি বানাতে পারবেন ভবিষ্যতে?
উ: আমার কাকা নাসির হুসেন একটা কথা বলতেন যে, পরিকল্পনা করে কখনও ভাল ছবি তৈরি করা যায় না। ভাল ছবি তৈরি হয়ে যায়। আমিও কথাটা বিশ্বাস করি। ‘লগান’কে যে বেঞ্চমার্ক হিসেবে ধরা হয়, সেটা ভেবে ভাল লাগে।
প্র: শুটিংয়ের বিশেষ স্মৃতি কী?
উ: আমার প্রাক্তন স্ত্রী তথা ছবির অন্যতম প্রযোজক রিনার (দত্ত) লেখা একটা চিঠি, যেটা পড়ে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। শুটিং শেষে ইউনিটের সকলের উদ্দেশে চিঠিটা লিখেছিল রিনা। সেটে সকলকে খুব বকাবকি করত ও। তবে শেষ দিনে ওর চিঠিটা পড়ে সকলে গলে জল! ‘লগান’-এ কাজ শুরুর আগে রিনার কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। ও তখন কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ছিল। আমার অনুরোধের পরে ছবির টেকনিক্যাল দিকগুলো নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে রিনা। ও না থাকলে ছবিটাই হত না।
প্র: ছবি চলাকালীন অনেক নতুন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল আপনার...
উ: তার প্রধান কারণ, আমরা অনেক দিন একসঙ্গে একই জায়গায় থেকে কাজটা করেছিলাম। আমাদের ‘লগান ইলেভেন’-এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এখনও অ্যাক্টিভ। সেখানে আমরা একে অন্যকে চরিত্রের নামেই ডাকি।
প্র: ‘লগান’-এর রিমেকের প্রস্তাব এলে কী বলবেন?
উ: আমি আর আশুতোষ (গোয়ারিকর, পরিচালক) স্বত্ব দিতে রাজি। কেউ বানিয়ে দেখাক (হাসি)! আমরা কত রকম সমস্যার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। এ বার সেই অভিজ্ঞতা অন্য কারও হোক, আমরা দেখি। এখন রণবীর সিংহ, রণবীর কপূর, ভিকি কৌশলরা ভুবন চরিত্রটা আমার চেয়েও ভাল করতে পারবে।
প্র: পুরস্কার মঞ্চে না যাওয়া নিয়ে আপনার অবস্থান এখনও পাল্টায়নি?
উ: দেশের দুটো পুরস্কার মঞ্চে যাই। দীননাথ মঙ্গেশকর অ্যাওয়ার্ডস এবং দক্ষিণ ভারতের গোলাপুরী শ্রীনিবাস অ্যাওয়ার্ডস। ‘লগান’ যখন অস্কার দৌড়ে গিয়েছিল, তখন ছবিটার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন বহু মানুষ। আর আমি তাতেই খুশি ছিলাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy