তেরঙা হাতে প্রথমবার স্বাধীনতা দেখেছিলেন এলাহাবাদে
১৫ অগস্ট এসে পড়ল। ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন দেশপ্রেমী অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের হৃদয়েও অনুরণন তুলছে। তাঁর মন গাইছে, ‘হর ঘর তিরঙ্গা, ঘর ঘর তিরঙ্গা (প্রতিটি ঘরে জাতীয় পতাকা)’, সেই সঙ্গে টান পড়ছে অতীতের স্মৃতিতেও।
অমিতাভ তাঁর সর্বশেষ ব্লগে লিখেছেন স্বাধীনতার বছরের সুখস্মৃতি। ১৯৪৭ সাল, ১৫ অগস্ট। এলাহাবাদের বাড়িতে যখন প্রথম বার জাতীয় পতাকা তুললেন, সে সময় তাঁর উচ্ছ্বাসের কথা। তখন তিনি বছর পাঁচেকের শিশু। জানালেন, তিনি যে গর্ব এবং দেশপ্রেম অনুভব করেছিলেন তা কখনও ভোলার নয়। তেরঙার শক্তি বুঝি এমনই।
অমিতাভ লিখেছেন সেই সময়ের কথা, যখন ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাইলেই সাধারণ মানুষ নিজের ঘরে জাতীয় পতাকা তুলতে পারতেন না। নির্দিষ্ট দিন-ক্ষণ সময়ের অপেক্ষা থাকত। সাংসদ নবীন জিন্দল আদালতে গিয়ে পতাকা উত্তোলনের অধিকার আদায় করে আনেন।
তার পর মুক্তির উচ্ছ্বাস। মনের সুখে বাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছিলেন আগামীর ‘কুলি’-র নায়ক। তাঁর মনে পড়ে, খাদির কাপড় দিয়ে তেরঙা তৈরি হত। তখনকার ব্যাঙ্গালোরে কেবল একটা দোকানেই মিলত জাতীয় পতাকা।
লেখক-অভিনেতার কথায়, ‘‘বারান্দায় পতাকা ধরে দাঁড়িয়েছিলাম। দেশপ্রেমের গর্বে, নাগরিক পরিচয়ে, আমার এবং আমাদের সত্তার গর্ব নিয়ে।’’
অমিতাভ জানান, তার পর থেকে প্রতি বার প্রতি অনুষ্ঠানে ভারতীয় হিসাবে তিনি গর্ব অনুভব করেন। বলতে ভাল লাগে ‘জয় হিন্দ!’ সেই গর্ব মিলেমিশে যায় কলকাতার ইডেনের ম্যাচে। সেই সন্ধ্যায়, যেদিন ভারত বিশ্বকাপ ক্রিকেট জিতেছিল।
অমিতাভ লিখছেন, ‘‘অভিষেক এবং আমি আমাদের গাড়ির উপরে তেরঙা উড়িয়ে রাস্তায় রাস্তায় শত শত মানুষের সঙ্গে উল্লাসে গলা মিলিয়েছিলাম সে দিন।’’
T 4343 - घर घर तिरंगा ! हर घर तिरंगा !! pic.twitter.com/7pZZEgXGpD
— Amitabh Bachchan (@SrBachchan) July 11, 2022
মঙ্গলবার সেই প্রিয় তেরঙার সঙ্গে একটি ছবি তুলেছেন অমিতাভ। সঙ্গে গেয়েছেন দেশপ্রেমের গান। যা তাঁকে আজও শৈশবের স্বপ্নে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ঘরে ঘরে রোজ গর্বের তিনটি রঙের নিশান উড়বে, চান এটুকুই।
সম্প্রতি অজয় দেবগণের ‘রানওয়ে ৩৪’-এ দেখা গিয়েছে অমিতাভকে। সামনেই অনেকগুলি ছবি রয়েছে তাঁর হাতে। শোনা যাচ্ছে, জনপ্রিয় শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-র সঞ্চালক হিসাবেও আবার ফিরে আসবেন সকলের প্রিয় বিগ বি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy