‘জগ্গা জাসুস’ তা হলে শেষ পর্যন্ত রিলিজ করছে...
(হাসি) হ্যাঁ। আমিও এতদিন রিলিজ ডেটের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।
সে কী! আপনিও সঠিক দিনটা জানতেন না?
হ্যাঁ, যখনই রণবীরের সঙ্গে কথা হত, আমি ওকে বলি যে ভাই এ বার ডেটটা অ্যানাউন্স করা হোক। আসলে আমার একটা বাজে অভ্যেস হয়ে গেছে। যে কারণে বলিউডে আমাকে ‘তিরুপতি কী নাই’ বলে লোকজন। (হাসি) ওই যারা অর্ধেক চুল কেটে বলে, বাকি পয়সা না দিলে কাটব না। আমিও দশ-পনেরো দিনের শ্যুটিং ছেড়ে দিই। শেষ করি রিলিজ ডেট অ্যানাউন্স হওয়ার পর। ওটা হচ্ছে আমার ফাইন টিউনিং।
বলিউডের গসিপ রণবীর-ক্যাটরিনার ঝামেলার জন্য শ্যুটিং পিছোতে হয়েছিল আপনাকে...
না না, শ্যুটিং পিছিয়েছিল কিছুটা আমার জন্য। আমি ‘বরফি’র পর একটু নিঃশ্বাস নিতে চেয়েছিলাম। তার আগে একটানা কাজ করে গিয়েছি। রণবীর আর ক্যাটরিনা এত লক্ষ্মী বাচ্চা যে ওরা একবারও আমার বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি। চতুর্দিকে এত কথাবার্তা হয়েছে যে ওদের জন্যই শ্যুটিং পিছোচ্ছে। কিন্তু ওরা একবারও বলেনি, আরে দাদা-ই তো ছুটি নিয়ে বাড়িতে বসে আছে। আসলে আমি নিজেই কিছু ব্যক্তিগত সমস্যায় আটকে ছিলাম। তবে ওর মধ্যেই তো রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একটা টেলিসিরিজ করলাম। কিন্তু সিনেমাটা আর...
মুম্বইতে আপনার ইমেজ তো বিন্দাস। সেই অনুরাগের আবার সমস্যা...
আরে ছাড়ো না। আমার লাইফের সমস্যা নিয়ে কার কী এসে গেল। (হাসি) বললাম তো শ্যুটিং পেছোনোর এটাই কারণ। আসলে আমরা জানতাম যে এই দেরিটা হবে। ব্যস্ত রণবীর, ‘জগ্গা...’র জন্য সময় দিচ্ছিল এই জুলাইতে। আমি এতটা দেরি করতে চাইনি। বলেছিলাম, চল আস্তে আস্তে কাজটা শুরু করি। তুই অন্য ছবিগুলোর মাঝে একটু সময় বার করে আমার কাজটা করে দিস। রণবীর তো আর দু’টো কাজ একসঙ্গে করতে পারবে না। আমিও চাই না ও পুরনো কমিটমেন্টগুলোকে সরিয়ে ‘জগ্গা...’ আগে শেষ করে দিক। সেটা ঠিক নয়।
একটা কথা বলুন, নায়ক-নায়িকার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর তাঁদের দিয়ে কাজ করানোটা তো সমস্যার। রণবীর-ক্যাটরিনারও তো...
হ্যাঁ, ব্যাপারটা কঠিন হয়ে যায়। (একটু থামলেন। টেবিলে উল্টে রাখা ফোনটা একবার দেখে নিলেন) জীবনের কঠিনতম ফেজ-এ ভাল অ্যাক্টরদের স্বাভাবিক ব্যাপারটা নষ্ট হয়ে যায়। ভয় পেয়ে কাজ করে তখন ওরা। ক্রমাগত ভাবতে শুরু করে কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল। সব পা-ই হিসেব করে ফেলতে চায়। তখন আমাদের, পরিচালকদের দায়িত্ব হচ্ছে ওদের পুরনো সময়গুলোকে মনে করানো। ভাল মুহূর্তগুলোর কথা তুলে ধরা। আর ক্রমাগত বলে যাওয়া, ভাল সময়গুলোকে মনে কর। ভাব আগে কী রকম ছিলি। তখন তো এত কিছু ভাবিসনি। তা হলে এখন কেন? আমি ওদের সেটাই বোঝাই।
আপনি এত রিল্যাক্সড থাকেন কি এটা ভেবে যে, অনুরাগ-প্রীতম-রণবীর যা ছোঁবেন, তাই সোনা...
রণবীরের সঙ্গে তো সবে এটা দ্বিতীয় ছবি। তবে আমি আর প্রীতম যদি যমজ ভাই হই, তা হলে রণবীর হল আমাদের তৃতীয় ভাই। ‘বরফি’তে ওর সঙ্গে একমাস কাজ করার পরই মনে হয়েছিল যে এই ছেলেটার সঙ্গে আমরা বহুদিনের পরিচিত। একটা অদ্ভুত বন্ডিং হয়ে গিয়েছিল।
একটা কথা বলুন, নেটফ্লিক্স-ইউটিউবের ফলে বড় পর্দার পরিচালকদের ওপর চাপ কী বেড়েছে?
নট রিয়েলি। চাপ বলব না। তবে ডেফিনেটলি একটা চ্যালেঞ্জ। আজকাল দর্শকরা ঠিক করে কোন ছবিটা হল-এ গিয়ে দেখবে আর কোনটা ল্যাপটপে নাকি কিছুদিন অপেক্ষা করবে টিভিতে আসার জন্য। সুতরাং এটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ, কী ভাবে তাদের হল-এ আনা যায়। তবে দর্শককে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমি নিজেই তো নেটফ্লিক্সে অধিকাংশ সিনেমা দেখি। সুতরাং অত ভেবে লাভ নেই।
আচ্ছা, সে না হয় ভাবলেন না। কিন্তু কিশোরকুমারের বায়োপিকের কাজ কদ্দুর এগোল?
জানি না। কাস্টিং বোধহয় চেঞ্জ হবে। রণবীর করবে না। ওকে নিতে গেলে প্রচুর অপেক্ষা করতে হবে। ওর হাতে এখন প্রচুর কাজ। আমি অত অপেক্ষা করতে পারব না। তাই অন্য কাস্টিং করব।
সেটার জন্যও কী দর্শককে আরও চার বছর অপেক্ষা করতে হবে?
(হাসি) তার আগেই নামিয়ে দেব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy