Advertisement
E-Paper

‘এত শয়তানি ঢুকে গেছে তো ভেতরে, আর ইনোসেন্ট হওয়া যাবে না’

সদ্য সদ্য দর্শকদের সামনে হাজির ‘সাঁঝের বাতি’। এক রোদাক্রান্ত, ধুলোমাখা দুপুরে ধারাবাহিকের নায়িকা চারু, মানে দেবচন্দ্রিমা সিংহরায়ের সঙ্গে আড্ডা দিলেন মৌসুমী বিলকিস দেবচন্দ্রিমা এবং চারুর মধ্যে অনেকটা তফাৎ আছে, আবার কিছু কিছু মিলও আছে। মিলগুলো খুব সহজেই করতে পারছি। তফাৎগুলো করতে ভাল লাগছে। দেবচন্দ্রিমা চারুর মতো এত ভাল মেয়ে নয়। চারু যতটা মিষ্টি, যতটা ইনোসেন্ট... এখনকার যুগে এ রকম মেয়ে তো দেখা যায় না।

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ১৭:০১
দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়

দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়

চারু ঠিক কী রকম?

চারু খুব সহজ এবং নরম মনের মেয়ে। সরল, সাদাসিধে। ওকে লোকে যা করতে বলে তা ভালবেসে করে... ভাবে যে গুরুজনেরা যা বলেন তা ভালর জন্যই বলেন। মানে চারুর মধ্যে নেগেটিভ কোনও ব্যাপার নেই, সব কিছু পজিটিভলি ভাবে। চারু খুব চনমনে, দূরন্ত গতিতে কাজ করতে পারে।

চারুর ইচ্ছা কী?

ইচ্ছা... আমরা যেমন প্রচুর কিছু চাই এবং চেয়ে পাই না, চারুর মধ্যে কিন্তু সে রকম কোনও চাহিদা নেই। চারু মনে করে সে যেন তার বোন, বাড়ির সবাইকে ভাল করে খাওয়াতে পারে, পুরো পরিবারটাকে যেন একটু যত্ন করে রাখতে পারে। চারু তার পরিবারকেন্দ্রিক। চারুর ইচ্ছা এটাই। এখনও পর্যন্ত চারুর জীবনে কোনও সমস্যা নেই।

চারু এই মুহূর্তে কী ধরনের গল্পের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে?

এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে চারুর বোন চারুকে খুব অত্যাচার করছে... মানে, সামনে দেখাচ্ছে খুব ভাল, কখনও কখনও সামনেই দেখিয়ে ফেলছে চারুকে সহ্য করতে পারছে না। ফ্যামিলিতে চারুর মা, মানে চারুর সৎ মা... চারু যাকে নিজের মায়ের মতো ভালবাসে... সৎ মা চারুকে মিষ্টি কথা বলে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। চারুর সঙ্গে মাঝেমধ্যে হিরোর দেখাও হচ্ছে। এই কানেকশন কী ভাবে তৈরি হয় তা পরে আরও দেখতে পাবো। গল্পে এ রকমই আপাতত দেখতে পাচ্ছি।

অন্য মেজাজে দেবচন্দ্রিমা

হিরোর সঙ্গে দেখা হচ্ছে মানে চারু প্রেমে পড়েছে?

না, চারু প্রেমে পড়েনি... চারু যে মন্দিরে পুজো করে, হিরো মানে আর্য সেই মন্দিরে কোনও ভাবে চলে আসে। সেখানে চারুর সঙ্গে দেখা হয়। আমরা আপাতত সিনে যা দেখেছি... আর্য চারুর দিকে তাকিয়ে ছিল... আর্য যে অন্ধ চারু জানে না। তো চারু চিৎকার করেছে যে, ‘কেন তুমি আমার দিকে এই ভাবে তাকিয়ে আছ?’ গ্রামের লোকজন আর্যকে খুব অপমান করেছে। পরে চারু যখন জানতে পেরেছে যে আর্য অন্ধ তখন তার খুব খারাপ লেগেছে।

এই সিরিয়ালের আগে কী করেছেন?

আমার প্রথম কাজ ‘কাজললতা’, কালার্স বাংলায় দেখা যেত। তার পর আমি ‘জয় কালী কলকাত্তাওয়ালী’ করেছি। কিছু দিন আগে ‘টেক্কা রাজা বাদশা’ শেষ করলাম। তারপর ‘সাঁঝের বাতি’-তে চান্স পাই।

চারুর ভূমিকায় অভিনয় করতে কেমন লাগছে?

ভীষণই ভাল লাগছে। কারণ, দেবচন্দ্রিমা এবং চারুর মধ্যে অনেকটা তফাৎ আছে, আবার কিছু কিছু মিলও আছে। মিলগুলো খুব সহজেই করতে পারছি। তফাৎগুলো করতে ভাল লাগছে। দেবচন্দ্রিমা চারুর মতো এত ভাল মেয়ে নয়। চারু যতটা মিষ্টি, যতটা ইনোসেন্ট... এখনকার যুগে এ রকম মেয়ে তো দেখা যায় না। চারুকে সবাই এত ভালবাসছে, দর্শকের ভালবাসা পাচ্ছি... কখনও কখনও মনে হচ্ছে চারুর মতো ভাল মেয়ে যদি হতে পারতাম তা হলে সবাই আমাকে খুব ভালবাসত, সবাই আমাকে চারুর মতো দেখতো।

‘সাঁঝের বাতি’-তে চারুর চরিত্রে ইতিমধ্যেই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন দেবচন্দ্রিমা

কী রকম শয়তানি করেন?

দেবচন্দ্রিমা খুব ইগোইস্ট। কারও কথা যদি মনে লেগে যায় তা হলে দেবচন্দ্রিমা আর জীবনে তার সঙ্গে কথা বলবে না।

তাই?

হ্যাঁ... মানে এটা প্রচণ্ড আছে আমার। একটু ধরুন খারাপ কিছু কেউ বলল, সে কথা বললেও ‘হ্যাঁ’ ‘না’ বলে এড়িয়ে যাই। প্রপারলি কথা জীবনেও হবে না তার সঙ্গে আমার। তার পর দেবচন্দ্রিমা ভীষণ জেদি। কেউ কিছু বারণ করলে বেশি করে সেটাই করে। মানে, ‘বারণ করল আমাকে? এটাই করতে হবে।’...এ রকম আর কি।

ফ্যানরা কী বলছেন?

প্রচণ্ড ভাবে সাপোর্ট করছে... ফেসবুকে পিং করছে... ছবি দিয়ে কোলাজ বানিয়ে দিচ্ছে। খুব ইন্সপায়ার করছে আমাকে চারু চরিত্রটা করার জন্য।

ছবি: সংগৃহীত

Debchandrima Singha Roy Tollywood Bengali Serial
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy