অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
‘মন্দার’ ছক্কা হাঁকিয়েছে। বদলে গিয়েছেন পরিচালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য! চেক শার্ট, ট্রাউজার্স, চশমায় যেন আরও ধারালো। ইদানীং তাঁর কথা বলার ভাষাও পাল্টে গিয়েছে। শহুরে বাংলা প্রায় ত্যাগ করেছেন। সারাক্ষণ তাঁর মুখে গেইলপুরের ভাষা! কেন জানেন? পরিচালক-অভিনেতার চোখে নাকি ‘গেইলপুর অ্যাকসেন্ট ইজ সো সেক্সা!’ ভরা শীতে ভাষার মধ্যেই যত উষ্ণতা খুঁজে পেয়েছেন পরিচালক। ‘সেক্সি’ শব্দের ব্যবহার করতে গিয়ে গেইল্পুরের ভাষায় লিখেছেন ‘সেক্সা’।
অভিনয়ের মতোই তিনি যে পরিচালনাতেও লা-জবাব, তার চাক্ষুষ প্রমাণ ওয়েব সিরিজ ‘মন্দার’। শেক্সপীয়রীয় ‘ম্যাকবেথ’ ‘খোকা’র সৌজন্যে বাংলার দখলে। রাজ পরিবার অনির্বাণের দক্ষতায় গেইলপুরের মৎস্যজীবী পরিবার! তাঁর কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাধারণ থেকে সমালোচক। কিন্তু পরিচালক যে তাতেও তৃপ্ত নন! তাঁর খুঁতখুঁতে স্বভাব সারাক্ষণ আরও ভাল কিছু চাইছে। সেই জায়গা থেকেই হইচই-এর ওয়েব সিরিজের একদম অভিনব প্রচার সারলেন সম্প্রতি। গেইলপুরের ভাষায় অবলীলায় কথা বলে গেলেন। যেন বোঝাতে চাইলেন, তিনি আপাতত ‘মন্দার’ এবং সেই অঞ্চলের প্রেমে ডুবে। তাঁর অনুরাগীদেরও একই ভাবে সিরিজের প্রেমে মজতে হবে!
গেইলপুরীয় ভাষায় অনির্বাণ আর কী কী বলেছেন? ‘খেয়ে নেবে’ তাঁর উচ্চারণে ‘খাই নিবি’। ‘সে যেই হোক’ হয়েছে ‘সো যেউ হউক’। ‘দিয়ে দিয়েছি’ কথা বদলে ‘দিয়ে দিটি’। ‘থাকলি না কেন?’-র রূপান্তর ‘রইলোনি কেনি’! ‘রাখছি’ হয়ে গিয়েছে ‘রাখিটি’। তাঁর স্পষ্ট উচ্চারণে আঞ্চলিক ভাষার জাদু কি ছুঁয়ে ফেলল দর্শকদেরও?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy