অনির্বাণ কি মাটির কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেন?
ভেবেছিলেন, সমান্তরাল জীবনযাপন করবেন। বাউন্ডুলে হবেন। অথচ আজ তিনি অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। একইসঙ্গে উচ্চপ্রশংসিতও বটে।
মফস্সলে বড় হয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। মেদিনীপুরে জন্ম। স্কুলও সেখানেই। উচ্চমাধ্যমিকের পরে প্রথাগত শিক্ষায় অরুচি ধরলেও কলকাতায় শেষ করেছেন স্নাতকোত্তরের পাঠ।
এখন মঞ্চ থেকে বড়পর্দা, অভিনেতা-পরিচালকের অনায়াস যাতায়াত সর্বত্র। এই গোটা যাত্রাপথের দিকে ফিরে তাকালে কী মনে হয় অনির্বাণের?
শনিবারের আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডায় এই অভিনেতার জবাব, ‘‘ফিরে তাকাই। কিছুই মনে হয় না। একটিই চিন্তা করি, আমার সবটা মনে আছে তো? যদি না থাকে, তা হলেই আবার করে বসতে হবে আমায়। নাট্যকার সলীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি উক্তি ছিল, ‘অভিনেতা সে, যে মনে রাখে।’ আমি প্রার্থনা করি, আমি যেন সব মনে রাখি।’’
নিজের পা মাটিতে রাখার জন্যই কি বহু দিন পর্যন্ত ছোট, কম দামি সিগারেট খেতেন অনির্বাণ? তিনি কি ছোট গাড়ি চড়েন বা ছোট ফ্ল্যাটে থাকেনও সেই কারণেই? শিকড়ের কাছাকাছি থাকার টানে?
অনির্বাণের কথায়, ‘‘আমার কোনও শিকড় নেই। কোনও দিনই ছিল না। আমি গ্রাম থেকে আসিনি। সে রকম গভীর, গ্রাম্য, একেবারে মাটির সঙ্গে লেপ্টে থাকা জীবন থেকে আসিনি, যাকে শিকড় বলা যায়। আমি মফস্সল থেকে এসেছি। সেই মফস্সলকে শিকড় বলা উচিত নয়। বললে সেটা পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট হবে। ফলে আমি যখন কলকাতায় এসেছি, আমার শিকড় বলে কিছু ছিলই না। তবে হ্যাঁ তার সন্ধানে চলছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy