জোর করে সাদামাঠা জীবনযাপনের তাগিদ নেই অনির্বাণের।
তিনি শিকড়-হীন। মফস্সল থেকে উঠে আসা অভিনেতা আজ পর্যন্ত শিকড়ের কাছাকাছি থাকার তাগিদটাই কখনও অনুভব করেননি। বক্তা অনির্বাণ ভট্টাচার্য নিজেই।
অভিনেতার কথায়, “আমি কিছু প্রয়োজনের নিক্তিতে নিজের জীবনকে মাপি। আমার নিজের কাছে নিজের কিছু দাবি আছে। আমি যখন ইগনিস গাড়ি কিনেছিলাম, এটা ভেবে কিনিনি যে আমি ছোট গাড়ি চড়লে বিষয়টা বেশ অন্য রকম হবে। আমার কাছে যা টাকা ছিল, সেই টাকায় এই গাড়িটাই সেরা লাক্সারি গাড়ি। আমার যদি মনে হত, আমি একটা ছোট গাড়ি চড়ে শিকড়ের সঙ্গে লেগে থাকব, তা হলে সে রকম গাড়িই কিনতাম। আমার কাছে টাকা এলেই আমি একটা বিএমডব্লিউ বা অডি কিনব।”
অনির্বাণের কথায়, প্রত্যন্ত কোনও গ্রামে নয়, তিনি বেড়ে উঠেছেন মেদিনীপুরের মফস্সঅলে। তাই গ্রাম্য, মাটির সঙ্গে লেপ্টে থাকা জীবনের সঙ্গে পরিচয় ঘটেনি তাঁর। পর্দার ‘ব্যোমকেশ’ বললেন, “আমি মফস্সল থেকে এসেছি। সেই মফস্সলকে শিকড় বলা উচিত নয়। বললে সেটা পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট হবে।” অভিনেতার দাবি, গ্রাম-জীবনের শিকড় না থাকায় তার সঙ্গে জুড়ে থাকার প্রয়োজন তাঁর নেই। জোর করে সাদামাঠা জীবনযাপনের তাগিদও নেই তাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy