পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পরই কাশ্মীরে পর্যটক আসা কমে গিয়েছে। একের পর এক উড়ান বাতিল হচ্ছে। এমনই এক প্রায় ফাঁকা বিমানে চেপে কাশ্মীরে পৌঁছোলেন অভিনেতা অতুল কুলকর্ণী। তাঁর সাফ কথা, মুম্বইয়ে বসে থেকে কিছু হবে না। তাই সরেজমিনে ঘুরে এলেন জায়গাটা। পাশাপাশি দিলেন বার্তা। সেই বার্তা পেয়ে বাংলার ঘরে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের স্ত্রী অভিনেত্রী মধুরিমা গোস্বামীও করলেন আক্ষেপ।
আরও পড়ুন:
পহেলগাঁওয়ের ঘটনার অভিঘাতে যে ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল, তাতে তড়িঘ়ড়ি উপত্যকা ছাড়তে চাইছিলেন সকলে। আগামী দিনে কাশ্মীরি মানুষের রুটিরুজিতে টান পড়তে চলেছে, আশঙ্কা করছিলেন সর্বস্তরের মানুষ। কিন্তু ভূস্বর্গের সার্বিক চিত্রটা আদতে তেমন নয়। কাশ্মীর একেবারেই পর্যটকশূন্য হয়ে গিয়েছে, এমন নয়। ভয়কে উপেক্ষা করেই ভূস্বর্গে যাচ্ছেন অনেকে। যাচ্ছেন পহেলগাঁওয়েও। কারও কারও মুখে এ-ও শোনা যাচ্ছে— ‘সন্ত্রাসবাদকে জিততে দেওয়া যাবে না’।
এ বার সেই বার্তাই সশরীরে উপস্থিত হয়ে দিলেন অভিনেতা অতুল কুলকর্ণী। তাঁর কথায়, ‘‘কাশ্মীর আমাদের। আমরা আসব না কেন! আমাদের আসতেই হবে। কাশ্মীরের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করলে চলবে না। ওঁদের ভালবাসতে হবে।’’ এই মুহূর্তে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের কূটনৈতিক অবস্থা সংবেদনশীল। কিন্তু তাতেও কোনও ভয় নেই বলেই জানাচ্ছেন ‘রং দে বসন্তী’ খ্যাত অভিনেতা অতুল।
শ্রীনগর পৌঁছে ঝিলম নদীর ধারে বসে সাক্ষাৎকার দিতে দিতে তিনি বলেন, ‘‘২২ এপ্রিল যা হয়েছে সেটা অত্যন্ত দুঃখের। গোটা দেশ শোকগ্রস্ত। আমার মনে হয়েছে, যখনই এমন কিছু ঘটে তখন সমাজমাধ্যমে লিখলে হবে না। তাই সকালের বিমান ধরে সোজা শ্রীনগর চলে এলাম। পহেলগাঁও যাব এর পর। এখন কাশ্মীরে পর্যটনের মরসুমে সেখানে একের পর এক বুকিং বাতিল হচ্ছে শুনছি। তাই মুম্বইয়ে বসে থেকে কিছু হবে না। এখানে চলে এলাম।’’ অভিনেতা শ্রীনগর থেকে পহেলগাঁও গিয়েছেন। সেখানে দিব্যি ঘুরে বেড়িয়েছেন। সেখান থেকে নানা পোস্ট করেছেন সমাজমাধ্যমে।
অভিনেতার ছবি দেখেই কাশ্মীর যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন বাঙালি নাট্যকর্মী মধুরিমা গোস্বামীও। খানিকটা আক্ষেপ করে তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘ইস্, যদি পয়সা থাকত তা হলে আজই চলে যেতাম।’’