পরিচিতদের দেখলে তাঁরা হাসছেন বটে। একা হলেই মুখ গম্ভীর! যেমন, কাঞ্চন মল্লিক। ভয়ের চোটে প্রেক্ষাগৃহেই ঢুকতে পারেননি! কিংবা আবীর চট্টোপাধ্যায়। এখনও পরীক্ষার ফল বেরোনোর মতো দুশ্চিন্তা হয় তাঁর।
চতুর্থীতে ‘রক্তবীজ ২’- এর বিশেষ প্রদর্শনের আয়োজন করেছিলেন নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। সেখানেই আনন্দবাজার ডট কমকে ছবিমুক্তির দিনের প্রতিক্রিয়া জানালেন ওই দুই অভিনেতা।
শারদীয়া শুরু। দেবী দুর্গা শক্তির প্রতীক। শক্তির রং লাল। সেই রঙেই এ দিন সেজেছিলেন সবাই। ছবির সব অভিনেতাদের সঙ্গে হাজির প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এ বছর তাঁর ছবি ‘দেবী চৌধুরাণী’ মুক্তি পেয়েছে। বললেন, “আমি ইন্ডাস্ট্রির ‘জ্যেষ্ঠ পুত্র’। সবার বড়। আমি সব প্রেক্ষাগৃহে যাব। বিশেষ প্রদর্শনে উপস্থিত থাকব।”
শিবপ্রসাদকে বুকে জড়িয়ে নিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
তিনি থাকতে থাকতেই ছবির খলনায়ক ‘মুনির আলম’ অর্থাৎ অঙ্কুশ হাজরা উপস্থিত। তাঁকে দেখেই ছিটকে সরে গেলেন ছবির কাহিনি-চিত্রনাট্যকার জিনিয়া সেন! ডান হাতের কব্জির উপরে হাত বোলাতে বোলাতে বললেন, “মেয়েরা অঙ্কুশকে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। মাঝখান থেকে আমার হাত জখম! কব্জির হাড় ফুলে গিয়েছে।”
খলনায়ককে দেখে মেয়েরা উন্মত্ত? প্রশ্ন করতেই হাসলেন ‘মুনির’। বললেন, “নন্দিতাদি-শিবুদার ছবির এটাই ম্যাজিক।” ‘রঘু ডাকাত’ বনাম ‘রক্তবীজ ২’ যুদ্ধ? সাফ জবাব এল, “আমাদের কারও মধ্যে কোনও লড়াই নেই। আমরা সবাই বাংলা ছবির উন্নতি চাই। চারটি ছবি ভাল ব্যবসা করুক।”
বনির হাত ধরে এলেন কৌশানী। নিজস্ব চিত্র।
এসেছিলেন অনসূয়া মজুমদার, কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবলীনা কুমার, সস্ত্রীক সত্যম ভট্টাচাৰ্য, গায়িকা ইমন চক্রবর্তী।
হঠাৎ, হইহই। মিমি চক্রবর্তী প্রেক্ষাগৃহে এলেন বাবাকে নিয়ে। বললেন, “মা হিমাচল প্রদেশে। এখন বাবা আমার সঙ্গী।” জানালেন, ছবির ফলাফল ইতিবাচক, তিনিও আশাবাদী।
দুই বান্ধবী নুসরত এবং মিমি বিশেষ প্রদর্শনীতে। নিজস্ব চিত্র।
মিমি প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে ঢোকার কিছু ক্ষণের মধ্যেই এলেন নুসরত জাহান। যাঁর ‘আইটেম’ নাচের গান ‘অর্ডার ছাড়া বর্ডার’ শ্রোতাদের ভাল লেগেছে। তিনি সবাইকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানান।