তখন প্রথম শ্রেণির ছাত্রী অংশুলা কপূর। বনি কপূর ও মোনা কপূরের মেয়ে, অর্জুন কপূরের বোন। আচমকাই নাকি বনি-মোনার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। প্রযোজক বিয়ে করে বসেন সেই সময়কার পয়লা নম্বর অভিনেত্রী শ্রীদেবীকে। বনির প্রথম স্ত্রী মোনা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “বনি আমার চেয়ে দশ বছরের বড়। যখন বিয়ে হয়, আমি তখন ১৯। বড় হয়ে ওঠা বনির সঙ্গেই। আমাদের তেরো বছরের বিবাহিত জীবন। কিন্তু সেই সম্পর্কটিকে দ্বিতীয় বার সুযোগ দেওয়ার জায়গা ছিল না।”
শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায় বনি এবং মোনার বিয়ে। মন্দিরে বিয়ে করেন শ্রীদেবী-বনি। এক সময় মোনা-অর্জুন-অংশুলার সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ বন্ধ হয় বনির। অর্জুন একবার বলেছিলেন, “শ্রীদেবীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক কোনও দিন স্বাভাবিক হবে না। আমার বাবার স্ত্রী, এর বেশি কিছু নন।” বাবার বিয়ের খেসারত দিতে হয় অংশুলাকেও।
এই মুহূর্তে একটি রিয়্যালিটি শোয়ে দেখা যাচ্ছে অংশুলাকে। যদিও শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর বনির দু’পক্ষের ছেলেমেয়েদের মধ্যে সদ্ভাব তৈরি হয়। বড় দিদি হিসেবে অংশুলাকে ভালবাসেন জাহ্নবী ও খুশি। কিন্তু শৈশবের সেই ক্ষত ভুলতে পারেননি অংশুলা। বাবা শ্রীদেবীকে বিয়ে করার পর স্কুলে সহপাঠীরা কথা বলা বন্ধ করে দেয় তাঁর সঙ্গে। খানিকটা একঘরে হয়ে যান। তাঁদের বাড়িতে বন্ধুবান্ধবের যাতায়াত বন্ধ হয় যায়। অংশুলার কথায়, ‘‘সে সময় আমার সহপাঠী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের আচরণ কেমন বদলে গিয়েছিল। স্কুলে যেতেই বিব্রত হতাম আমি। আসলে আমার বাবা এমন একজনকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন, দুর্ভাগ্যবশত বা সৌভাগ্যক্রমে পুরো বিষয়টি জনসক্ষমে চলে এসেছিল। কারণ তাঁরা দু’জনেই তারকা ছিলেন। তাঁরা যদি তারকা না হতেন, তা হলে আমাদের পক্ষে এ সব বিষয় মোকাবিলা করা অনেক সহজ হত।’’
শোনা যায় বনি কপূরের পরিবারও শ্রীদেবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে মেনে নেননি। দীর্ঘ দিন কপূর পরিবারে শ্রীদেবী ব্রাত্য ছিলেন।