জন্ম তাঁর হিন্দু বাড়িতে। বাবা-মা নাম রেখেছিলেন দিলীপ কুমার। নামটা বিশেষ পছন্দ ছিল না তাঁর। এক হিন্দু জ্যোতিষীর পরমার্শেই নাকি নিজের নাম রাখেন রহমান। মুসলিম নাম গ্রহণ করলেও তিনি বিশ্বাসী সুফিবাদে। বাকি ধর্ম সম্পর্কে কী ধারণা অস্কারজয়ী সুরকারের?
আরও পড়ুন:
তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৩। এআর রহমানের বাবা দীর্ঘ দিন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর শেষের দিনগুলিতে সাহায্য করেছিলেন একজন সুফি রোগনিরাময়কারী। এআর রহমানের জীবনে তাঁর বিরাট প্রভাব ছিল। ওই ব্যক্তির পরামর্শ মেনে চলতেন শিল্পী। সেখান থেকেই ধর্ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন রহমান। এক হিন্দু জ্যোতিষীর পরামর্শে শিল্পী বেছে নেন ‘আবদুল রহমান’ নামটি। পরে নামের সঙ্গে ‘আল্লাহ্ রাখা’ যোগ করেন তাঁর মা।
যদিও রহমান এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ হিন্দু, ইসলাম ও খ্রীষ্টান— সব ধর্ম নিয়েই পড়েছি। প্রতিটা ধর্মকেই ভালবাসি। তবে ধর্মের নামে মানুষ মারায় আপত্তি আছে। তবে সুফিবাদ যেন মৃত্যুর আগেই পুর্নজন্মের কথা বলে। নিজের অন্তরাত্মার সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যায়। এখানে মানুষের মনের ক্ষোভ, হিংসা, রাগ সব শেষ হয়ে যায়। মানুষ ঈশ্বরের মতো শুদ্ধ হয়ে যায় তখন।’’ রহমান একা নন, তাঁর মা-ও সুফিবাদের রাস্তায় হেঁটে যেন শান্তি পেয়েছেন।