মারিয়া গোরেত্তি-অরশদ ওয়ারসী। কলেজজীবনের ভাললাগা। তার পর প্রেম। বিয়ের কথা উঠতেই নাকি প্রথমে বেঁকে বসেছিলেন মারিয়া। তার পর তাঁর মা-বাবা। খ্রিস্টান পরিবারের ভয় ছিল, একে অরশদ মুসলিম। তখনও বেকার যুবক। কী করে তাঁদের মেয়েকে সুখে রাখবেন?
২৫ বছরেরও বেশি দীর্ঘ দাম্পত্য তাঁদের। সম্প্রতি, অতীত ফিরে দেখেছেন অভিনেতা। বিয়ের আগের গল্প বলেছেন এক সাক্ষাৎকারে। সেখানেই তিনি ফাঁস করেছেন অতীত অভিজ্ঞতা।
তাঁর কথায়, “কলেজজীবনে আমাদের প্রথম আলাপ। মারিয়ার কলেজের একটি অনুষ্ঠানে বিচারক হয়ে এসেছিলাম। ও আমাদের নাটকের দলে যোগ দেয়। বন্ধুত্ব হয় আমাদের। ঘনিষ্ঠতাও বাড়ে।” সেই থেকে প্রেম। বেশ কয়েক বছর সম্পর্কে থাকার পর অরশদ বিয়ের প্রসঙ্গ তোলেন। প্রথমে বেঁকে বসেছিলেন পাত্রী নিজেই! “মারিয়া তিন বার ‘না’ বলার পরে ‘হ্যাঁ’ বলেছিল।” তার পর তিনি অভিনেতাকে নিয়ে গিয়েছিলেন মা-বাবার কাছে।
আরও পড়ুন:
অরশদের কথায়, “মারিয়ার মা-বাবা ভীষণই ধর্মভীরু। ওঁরা যিশু খ্রিস্টকে অন্তর দিয়ে ভালবাসেন। এ দিকে আমি মুসলিম। ১০-৫টার চাকরিও করি না। তা হলে কী করে তাঁদের মেয়ে আমার কাছে ভাল থাকবেন?” পাশাপাশি, তাঁরা উপলব্ধি করেছিলেন, মানুষ হিসাবে অরশদ খুবই ভাল। তাঁদের সেই বিশ্বাস পরবর্তীকালে আরও দৃঢ় হয়। ক্রমে এ-ও বুঝতে পারেন, তাঁদের কন্যা মারিয়া অরশদের কাছে খুব সুখে আছেন। অভিনেতার মতো যত্ন তাঁদের মেয়েকে আর কেউ করতে পারবেন না।