দুর্ঘটনা নয়, জ়ুবিন গার্গকে হত্যা করা হয়েছে! এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অসম বিধানসভায় বিরোধীরা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। কর্মসংস্থান, অর্থনীতি, মানবকল্যাণের পাশাপাশি জ়ুবিন গার্গের মৃত্যুর প্রসঙ্গও তোলা হয় সেখানে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় জ়ুবিনের। সিঙ্গাপুরে হওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলেছে, এই মৃত্যুর নেপথ্যে কোনও ষড়যন্ত্র নেই। জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে গায়কের। তবে এই দিন হিমন্ত দাবি করেন, পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে জ়ুবিনকে। এই দাবি নিয়ে ফের চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
এই দিন বিধানসভায় ‘অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’-এর বিধায়ক রফিকুল ইসলাম দাবি করেন, জ়ুবিনের মৃত্যুর এখনও বিচার করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন, “আমরা বহু বিষয় নিয়েই কথা বলব। জ়ুবিন গার্গ যাতে বিচার পান, সেই বিষয়টিও তুলব। উনি আমাদের অসমের হৃদয়ে বাস করতেন।”
আরও পড়ুন:
‘নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল’-এ যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন জ়ুবিন। সেখানেই সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় গায়কের। এমন খবর ছড়ায়। সিঙ্গাপুর থেকে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসার পরে তদন্তে নামে অসম পুলিশও। সারা রাজ্য জুড়ে মোট ৬০টি মামলা দায়ের হয়েছে।
ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারীদের দলও গঠন করা হয়। এই ঘটনায় ‘নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল’-এর আয়োজক শ্যামকানু মাহাতো, জ়ুবিনের আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মা, ব্যান্ডের দুই সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী ও অমৃতপ্রভা মহান্ত, জ়ুবিনের তুতো ভাই সন্দীপন গার্গকে ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। জ়ুবিনের দু’জন নিরাপত্তারক্ষী নন্দেশ্বর বোরা ও প্রবীন বৈশ্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে ঘটনার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি।