তখন তাঁর ক্যানসার। চারপাশ ভীষণ ধূসর। এ রকম পরিস্থিতিতে পুরুষেরা সাধারণত একটা অবস্থার পর একঘেয়েমিতে ভুগতেও পারেন। আগ্রহ হারাতে পারেন স্ত্রী-র থেকে। সারা ক্ষণ অসুস্থতার কথা শুনতে শুনতে। আয়ুষ্মান কিন্তু করেনি। চিত্রনাট্য মেনে পর্দায় চুটিয়ে নায়িকার সঙ্গে প্রেম করেছে। বাস্তবে অসুস্থ স্ত্রী তাহিরা কাশ্যপের সঙ্গে! ‘চকোলেট ডে’-তে এ ভাবেই অভিনেতা স্বামী আর নিজের প্রেমজীবন প্রকাশ্যে আনলেন তাহিরা। জানালেন, আয়ুষ্মান প্রতিটি মুহূর্ত যে ভাবে তাঁকে আগলে রেখেছিলেন কম পুরুষ এ ভাবে যত্ন নেন।
আয়ুষ্মান-তাহিরার প্রেমের নেপথ্যে অনেক কাহিনি। প্রেমদিবসের এ বিষয়ে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অভিনেতা-পত্নী। বলেছেন, “এক সঙ্গে অনেকটা সময় কাটানো, পরস্পরকে অনেক কিছু উপহার দেওয়া— আমাদের ছিল না। প্রেমদিবসের আগে এত দিবস পালনের হিড়িকও ছিল না। আমাদের ভাঁড়ারে এমন অনেক ছোট ছোট মুহূর্তে রয়েছে যা উপহারের থেকে অনেক দামি।” যেমন, প্রায় প্রতি দিন তাহিরার বাড়ির সামনে দিয়ে বন্ধুর গাড়িতে চেপে আয়ুষ্মান যেতেন, নির্দিষ্ট সময়ে। গাড়ির আওয়াজ শুনেই তাহিরা বুঝতে পারতেন, তিনি আসছেন! তাহিরার দাবি, “তখন তাতেই যে কী উন্মাদনা! আর বাকি সময় ধরে অপেক্ষা, পরের দিনটা কখন আসবে?”
আরও পড়ুন:
আয়ুষ্মানকে ঘিরে তাহিরার এত অনুভূতি। অভিনেতার হৃদয়েও কি ততটাই জুড়ে রয়েছেন তিনি?
একা তাহিরা নন, অভিনেতাও তাই মুখ খুলেছেন। তাঁর কথায়, “তাহিরার তখন দ্বাদশ শ্রেণি। আমরা দু’জনে বন্ধু। অনেক গুলো বছর আমরা খুব ভাল বন্ধু হয়ে কাটিয়েছি। একটা সময়ের পর বুঝলাম, ও ‘বন্ধু’র থেকেও বেশি। তাহিরাকে ছাড়া আমার চলবে না। তখনই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।”
দাম্পত্যের ১৭ বছর পরেও ওঁরা ‘বন্ধুত্ব’কে বাঁচিয়ে রেখেছেন। যার জোরে আয়ুষ্মার ‘তারকা’ তকমা পেলেও তাহিরার থেকে কখনও দূরে চলে যাননি।