২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অন্ধধুন’-এর নায়ক ছিলেন আয়ুষ্মান, জনপ্রিয় সেই ছবি দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। ফাইল চিত্র
শেষ তিনটে ছবি চলল না। কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ আয়ুষ্মান খুরানা। তবে নিজের দোষ দেখছেন না এতে। সাফ জানালেন, সমস্যা একটাই— ভারত সমপ্রেম বিদ্বেষী। সে কারণেই চলেনি ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’(২০২১)-র মতো ছবি, দাবি অভিনেতার।
২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অন্ধধুন’-এর নায়ক ছিলেন আয়ুষ্মান। তুমুল জনপ্রিয় সেই ছবি দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছিল। আয়ুষ্মানের অনুরাগী সংখ্যাও কম নয়। তা হলে একমাত্র সমস্যা ছবির বিষয়, এমনই মনে করছেন তিনি। ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’-তে সামাজিক বার্তা ছিল। সমপ্রেমী এবং রূপান্তরকামীদের স্বর তুলে ধরা ছিল। তাতেই কি বিরূপ হয়েছেন দর্শক?
অভিষেক কপূর পরিচালিত ছবিটি মুক্তির প্রথম দিনেই ৩কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছিল। তবে করোনা বাড়তে থাকায় সব মিলিয়ে মাত্র ৩৩ কোটি ৬৪ লক্ষ পার করে বক্স অফিসে ক্ষান্ত দিয়েছে ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’। তবে এমন নয় তো, যে ক্রমাগতই পারফরম্যান্স খারাপ হচ্ছে অভিনেতার? আয়ুষ্মানের দাবি, একেবারেই না। এক সাক্ষাৎকারে বললেন, “সংস্কার, গোঁড়ামিকে উদ্দেশ করেই ছবি করতে চেয়েছি। সমষ্টির কথা ভেবে কাজ করেছি। বড় বদলের লক্ষ্যে। বাচ্চারাও দেখতে পারত। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমার শেষ তিনটে ছবি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যর্থ হল।”
কারণ হিসাবে অভিনেতা মনে করছেন, “আমাদের দেশ সমপ্রেমের বিরোধিতা করে, যা দুর্ভাগ্যের। অন্য দিকে ‘অনেক’ (২০২২) ছিল তথ্যচিত্রের মতো। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা থাকায় মানুষ আকৃষ্ট হয়নি। আর ‘ডক্টর জি’ (২০২২), সেটা তো ভালই ছবি। সবার ভাল লাগার মতো। শুরুতে বক্স অফিসে ভালই আয় করছিল শুনেছিলাম। যাই হোক, এই কাজগুলো করে কাজ শিখলাম।”
ফলাফল যা-ই হোক, জানালেন ঝুঁকি নিতে ভয় পাবেন না পরেও। আয়ুষ্মানের মতে, “যদি ঝুঁকি নেওয়া বন্ধ করি তা হলে গতানুগতিক হয়ে যাব। আমি সব সময়ে ছকভাঙা রাস্তায় হেঁটেছি। নিজের খুশি মতো চলেছি। তাই সাফল্য আসুক বা ব্যর্থতা— আমি মেনে নেব। গন্ডির বাইরে গিয়েই কাজ করতে চাই। তা ছাড়া, আমার ছবিগুলো এমন কিছু বিশাল বাজেটের নয় যে আমি লোকসান সামলাতে পারব না!
আগামী দিনে ফের নতুন ছবি নিয়ে আসছেন আয়ুষ্মান। অনিরুদ্ধ আয়ারের পরিচালনায় ‘অ্যান অ্যাকশন হিরো’ ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। ছবিটি মুক্তি পাবে ২ ডিসেম্বর, ২০২২।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy