ইদ, দিওয়ালি বা বড়দিন ছাড়া এমন রেকর্ড সচরাচর চোখে পড়ে না।
মাহিষ্মতী রাজ্যের মহাকাব্যিক সিংহাসন দখলের কাহিনি সবে দ্বিতীয় সপ্তাহে পা রেখেছে। এর মধ্যেই দেশের সর্বকালীন হিট ছবিগুলিকে ছাপিয়ে গিয়েছে সে। শনিবারই পিকে, বজরঙ্গি ভাইজান, সুলতান, দঙ্গলদের ৩০০ কোটি ক্লাবে ঢুকে পড়ে বাহুবলী-২। আমেরিকাতেই ১০০ কোটি রোজগার। রবিবার বহু প্রতীক্ষিত হাজার কোটিও ছুঁয়ে ফেলল সে। প্রথম কোনও ভারতীয় ছবি এই ব্যবসাটা করল।
ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েক বছরের পরম্পরা অনুযায়ী, ইদ, দিওয়ালি বা বড়দিন ছাড়া বড়সড় হিট নেই বললেই চলে। খান-ত্রয়ী সলমন, শাহরুখ ও আমিরের ছবি যথাক্রমে বছরের তিনটি প্রধান পার্বণ ইদ, দিওয়ালি ও বড়দিনের রিলিজের সঙ্গে সমার্থক। এই তিন মাহেন্দ্রক্ষণের মধ্যে লোকে খানিকটা কম সিনেমা দেখে দিওয়ালির ছুটিতে। তবু বড় মাপের বাজার ধরতে ধারাবাহিক ভাবে বছরের ওই তিনটি সময়ই বলিউডের টেক্কা। তাই ‘তিন খান’কে ওই সময়গুলোতেই সাধারণত পেশ করা হয়। আমির খানের পিকে ও দঙ্গল বড়দিনে এবং সলমন খানের বজরঙ্গি ভাইজান আর সুলতান ইদের ছুটিতে মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু এ যাত্রা, দক্ষিণের প্রভাস-অনুষ্কা শেট্টীরা তথাকথিত অসময়ের রিলিজেই বলিউডকে কার্যত ম্লান করে দিয়েছেন। দেশের কোথাও কোথাও পয়লা মে-র ছুটি ছাড়া বাহুবলী-কাহিনির শেষ পর্ব আলাদা কোনও সুবিধে পায়নি। তাতেও বক্স অফিসের প্রথম হপ্তায় এ যাবৎ সব রেকর্ড তার কাছে নস্যি। বাহুবলীর প্রথম পর্ব সাড়া ফেললেও তার মুক্তির দু’হপ্তার মধ্যে বজরঙ্গী ভাইজান-এর আবির্ভাবে খানিক চাপা পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে প্রথম সপ্তাহেই বিশ্ব বক্সঅফিসে ৭২৫ কোটি টাকা আদায় করে বাহুবলী তার পরাক্রম বুঝিয়ে দিয়েছে।
বাহুবলে বাজিমাত
• প্রথম দিনেই ৪১ কোটি
• একদিনে সর্বোচ্চ ৪৬ কোটি
• প্রথম চার দিনের গড় ৪০ কোটির বেশি
• ভারতে ৫৩৫ কোটি
• বিদেশে ২০০ কোটি
• সব মিলিয়ে ৮০০ কোটি
(সাত দিনে আদায়ের হিসেব)
২৫০ কোটির স্পেশাল এফেক্টস-এ ভরপুর ছবি প্রথম দিনে ৪১ কোটি কামিয়ে ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করছে। মুম্বইয়ে বক্স অফিস ইন্ডিয়া-র মুখপাত্র আনন্দবাজারকে জানান, পিকে বা দঙ্গলকে ছাপিয়ে যাওয়া এখন বাহুবলীর জন্য অনিবার্য। হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম সংস্করণে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি প্রথম হপ্তায় আমেরিকায় অবধি ১০০ কোটির ব্যবসা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে। এ রাজ্যেও কোনও ছবির এত দূর ব্যবসার নজির কার্যত নেই। বাহুবলী-২ এর পরিবেশকদের তরফে বাবলু দামানির কথায়, পশ্চিমবঙ্গে মোটামুটি ১৪ কোটির ব্যবসা করেছে এ ছবি। প্রথম সপ্তাহে ১৯১টি হল থেকে ছবির শো এখন ২২০টা হলে ছড়িয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy