তৃণমূলে যোগ দিলেন আনুষ্ঠানিক ভাবে। নতুন পথে চলা শুরু। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। অনেক পরিকল্পনা। কিন্তু যোগ দেওয়ার ঠিক আধ ঘণ্টার মধ্যে চোখের সামনে দুনিয়াটা পালটে গেল অভিনেতা সৌরভ দাসের।
একটি ভিডিয়ো প্রকাশ পেল নেটমাধ্যমে। বোন ও বাবার সঙ্গে জন্মদিন পালন করছিলেন সৌরভ। ছিলেন আরও মানুষ। ভিডিয়োর বিশেষ অংশ দেখে সমালোচনার ঝড় উঠল। নানা কথা ভেসে ভেসে আসতে থাকল, ‘ভাই-বোনের নোংরামো!’, ‘বোনের বুকে হাত দিয়ে রয়েছেন সৌরভ। কিন্তু সামনে ক্যামেরা ছিল, সে কথা ভুলে গিয়েছেন।’, ‘তৃণমূল কর্মীর আসল পরিচয়’ ইত্যাদি। আর সব ক’টা কথাই আঘাত দিয়েছে সৌরভ ও তাঁর পরিবারের বুকে। সে কথাই আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানালেন অভিনেতা।
এক মাস হয়ে গিয়েছে সে ঘটনার। এখন অনেকটা ভাল আছেন বলে জানালেন সৌরভ। কিন্তু আতঙ্কটা ভিতর থেকে যায়নি। তার প্রমাণ দিলেন একটি ঘটনায়। কয়েক দিন আগে সৌরভের বাবার বুকে যন্ত্রণা হচ্ছিল। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। অনেক কিছুরই আশঙ্কা করছিল পরিবার। পরীক্ষানিরীক্ষা হয়। ফলাফল প্রকাশ পাওয়ার পর সৌরভকে ডেকে চিকিৎসক জানান, ‘‘আসলে তোমার বাবা এই এক-দেড় মাস খুব দুশ্চিন্তায় ছিলেন। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন। আর তার ফল এই ধরনের শারীরিক অসুস্থতা।’’ আর এক চিকিৎসক সৌরভের সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছিলেন। সৌরভ তাঁকে অনুরোধ করেন, যেন তাঁর বাবার সামনে গিয়ে ছবি তোলা হয়। যাতে বাবার ভাল লাগে। মনে হয় যেন, সব ঠিক আছে।