এ বার মহাকুম্ভে পৌঁছে গেলেন অপরাজিতা আঢ্য। ১৪৪ বছর পরে শুরু হয়েছে এই মহাসমাগম। একে একে যোগ দিচ্ছেন সকলেই। বাদ থাকলেন না বাংলার অভিনেত্রীও। মহাকুম্ভে নানা রূপে ধরা দিলেন তিনি। সমাজমাধ্যমে নিজেই তাঁর কুম্ভযাত্রার নানা ঝলক ভাগ করে নিলেন।
তবে অপরাজিতা মনে করেন, ঈশ্বর না চাইলে তিনি মহাকুম্ভে যোগ দিতে পারতেন না। তাই অভিনেত্রী লিখেছেন, “গুরু না চাইলে জীবনে কিছুই হয় না। জীবন সম্পূর্ণ হয় না। এই যে মহাকুম্ভে আসা এবং এখানে ঈশানজির শিবিরে যোগ দিতে পারা সবটাই গুরুর সিদ্ধান্ত। নমঃ শিবায় বাবাজি ও গুরুমা-সহ পুরো গুরু পরিবারকে। কোটি কোটি প্রণাম ও ধন্যবাদ।” শিবরাত্রিতেই সমাপ্তি হচ্ছে মহাকুম্ভের। অপরাজিতাও মহাকুম্ভে গিয়ে মহাদেবের জয়ধ্বনি তুলে বলেন, “হর হর মহাদেব।’’ মহাদেবের জয়ধ্বনি তোলার সঙ্গে অপরাজিতাকে নাচতেও দেখা যায়। কোথাও আবার দেখা যায়, প্রদীপ জ্বালিয়ে গঙ্গায় ভাসাচ্ছেন অভিনেত্রী। প্রদীপ ভাসিয়ে আশিস প্রার্থনা করছেন তিনি। সেই মুহূর্তের ছবি ভাগ করে নিয়ে অপরাজিতা সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “অমৃত কুম্ভের সন্ধানে”।
পূজার্চনার মাঝে পরিবারের সঙ্গেও সুসময় কাটিয়েছেন অপরাজিতা। সেই সব ছবিও সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
মহাকুম্ভে প্রতি দিন কোটি কোটি মানুষের ভিড় হচ্ছে। তারকারাও একে এক ভিড় করছেন এই পুণ্য সমারোহে। ইতিমধ্যেই মহাকুম্ভে গিয়ে পুণ্যস্নান করেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মহাকুম্ভের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনার প্রশংসাও করেছেন। দেবলীনা কুমার, সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরিন্দম শীলেরাও মহাকুম্ভে গিয়ে ত্রিবেণি সঙ্গমে ডুব দিয়ে এসেছেন।