Advertisement
E-Paper

‘বাবা নেই, তা-ও আজও চিঠি লিখি’, বন্ধুরা সকলে ‘অতীত’! কেন একাকিত্বে ভুগছেন রাতাশ্রী?

বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে পুরুষ বন্ধুদের থেকেই বেশি সমর্থন পেয়েছেন বলে জানান রাতাশ্রী। মহিলা বন্ধু কেবল দু’জনই রয়েছেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৮
রাতাশ্রী কি একাকিত্বে ভুগছেন?

রাতাশ্রী কি একাকিত্বে ভুগছেন? ছবি: সংগৃহীত।

বাবাকে হারিয়েছেন অনেক দিন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজও বাবাকে চিঠি লেখেন রাতাশ্রী দত্ত। ছোটবেলা থেকেই বন্ধু খুঁজতেন অভিনেত্রী। জীবনে এসেছেন কয়েক জন বন্ধু। কিন্তু একটা সময় পরে তাঁরা অতীত হয়ে গিয়েছেন। তা হলে কি একাকিত্বে ভোগেন অভিনেত্রী? আনন্দবাজার ডট কম-কে জানালেন রাতাশ্রী।

রাতাশ্রী জানান, তাঁর জীবনে বন্ধু ও চিঠির এক বড় ভূমিকা রয়েছে। ‘হাউ আর ইউ ফিরোজ়’ ছবি প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের কথাও ভাগ করে নেন রাতাশ্রী। ছবিতে একটি পারসি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। চরিত্রটি খুবই প্রাণবন্ত। কিন্তু তার মধ্যে একাকিত্ব রয়েছে। রাতাশ্রীর জীবনেও এসেছে একাকিত্ব। তাই অভিনেত্রী বলেন, “খুব ছোট থেকেই আমি বন্ধু খুঁজতাম। কিন্তু তখন বন্ধুর প্রকৃত অর্থ বুঝতাম না। পরিচিত মানেই বন্ধু নয়, এটা বুঝতাম না তখন। সব সহপাঠীকেই বন্ধু ভাবতাম। কিন্তু যখন পাশে সত্যিই বন্ধুর প্রয়োজন ছিল, তখন আমি কাউকে পাইনি। সেই থেকে বুঝেছি বন্ধু কাকে বলে।”

ছোটবেলায় কিছু বন্ধু পেয়েছিলেন। কিন্তু পরে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এমনই এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধুকে ফের খুঁজে পাওয়ার অভিজ্ঞতা জানান রাতাশ্রী। তাঁর কথায়, “ক্লাস টেনে আমার এক প্রিয় বান্ধবী ছিল। তার পর স্কুল পাল্টে যায়। দূরে চলে যাই। আমাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আমার কাছে রয়ে গিয়েছিল সেই বান্ধবীর লেখা একটা চিঠি। তা ছাড়া ওর কোনও ঠিকানা, ফোন নম্বর কিচ্ছু ছিল না। সমাজমাধ্যমেও ওকে পাইনি।”

একটি চিঠিকে আশ্রয় করে সেই বান্ধবীকে খুঁজে বার করেছিলেন অভিনেত্রী। তবে এই চিঠির জন্য মায়ের কাছে বকুনিও খেয়েছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “মা ভাবত, নিশ্চয়ই কোনও ছেলে আমাকে এই চিঠি দিয়েছে। তাই আমি এমন যত্ন করে রেখেছি। মায়ের কাছে মারও খেয়েছি। ১৩ বছর ওই চিঠি আগলে রেখেছিলাম। তার পরে এক দিন আমি অডিশন দিতে যাই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এসেছিলেন অডিশন নিতে। তাঁর সঙ্গে গল্প করতে করতেই জানতে পারি, আমার বান্ধবীও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে।”

চিঠির মাধ্যমেই একসময়ে বাবার সঙ্গে কথা বলতেন তিনি। রাতাশ্রী বলেন, “ছোটবেলায় বাবা অনেক দূরে থাকতেন। মা ফোন ধরতে দিতেন না। তাই বাবার জন্য পাতার পর পাতা চিঠি লিখে রাখতাম। ছ’মাস পরে বাবা এলে তখন সেই চিঠি দিতাম। দীর্ঘ দিন এই ভাবেই বাবার সঙ্গে কথা হত। এখন বাবা আর নেই। কিন্তু বাবাকে চিঠি লেখা এখনও থামেনি।”

কর্মজগতে সহকর্মী পেয়েছেন। কিন্তু বন্ধুত্বের দিক থেকে কিছুটা নিজেকে পিছিয়ে রাখেন রাতাশ্রী। মনে করেন, তিনিই হয়তো ঠিক করে মিশতে পারেননি বলে বন্ধুত্ব তৈরি হয়নি। এর জন্য তিন-চার বছর আগে একাকিত্বে ভুগতেন। কিন্তু গত বছর থেকে নিজের মধ্যেই ভাল বন্ধুকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি। অভিনেত্রীর স্বীকারোক্তি, “নিজের সঙ্গেই এত ভাল বন্ধুত্ব হয়েছে, আর আমার একা লাগে না।”

বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে পুরুষ বন্ধুদের থেকেই বেশি সমর্থন পেয়েছেন বলে জানান রাতাশ্রী। মহিলা বন্ধু কেবল দু’জনই রয়েছেন। ভৌগোলিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে তাঁদের সঙ্গেও। প্রেমের ক্ষেত্রেও সম্পর্কে বন্ধুত্বের সমীকরণ রয়েছে কি না, সেটাকেই গুরুত্ব দেন অভিনেত্রী।

উল্লেখ্য, ‘চিক ফ্লিক’, ‘রাজা রানি রোমিয়ো’, ‘তুখোড়’, ‘অচেনা উত্তম’, ‘ডু নট ডিস্টার্ব’-এ অভিনয় করেছেন রাতাশ্রী।

Ratashree Dutta
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy