ইন্দ্রাশিস আচার্য। ছবি: সংগৃহীত।
মঙ্গলবার রাতে টলিপাড়ায় পরিচালকরা কর্মবিরতি তুলে নিয়েছেন। তার মধ্যেই ইন্ডাস্ট্রির এক পরিচালক পুরনো পেশায় ফিরে গেলেন। তিনি ইন্দ্রাশিস আচার্য। মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে ‘নীহারিকা’ খ্যাত পরিচালক জানিয়েছেন তিনি একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার চাকরিতে যোগদান করেছেন। পরিচালকের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী কারণ, তা নিয়ে সমাজমাধ্যমেও কৌতূহল চোখে পড়েছে। তার থেকেও বড় প্রশ্ন, অনুরাগীরা জানতে চেয়েছেন, ইন্দ্রাশিস কি আর ছবি পরিচালনা করবেন না?
ইন্দ্রাশিসের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক প্রশংসিত ছবি। তার মধ্যে ‘পিউপা’, ‘দ্য পার্সেল’ ও ‘বিলু রাক্ষস’ অন্যতম। হঠাৎ চাকরি করার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন তিনি? আনন্দবাজার অলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হলে ইন্দ্রাশিস বললেন, ‘‘গত দু’বছরে নতুন ছবি তৈরি করতে গিয়ে অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। মূলত অর্থনৈতিক নিরাপত্তার কারণেই আমাকে আবার চাকরিতে ফিরতে হল।’’
এক সময় এক বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করতেন ইন্দ্রাশিস। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে সিনেমার টানেই তিনি চাকরি ছেড়ে পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। কিন্তু আরও এক বার পুরনো পেশাতেই তিনি ফিরে গেলেন। ইন্দ্রাশিস বললেন, ‘‘দু’বছরে অনেক চেষ্টা করেছি। কোনও ছবি পাইনি। কেউ কাজও দেননি। সব জায়গায় খুব যে ভাল ব্যবহার পেয়েছি, সেটাও নয়।’’
ইন্দ্রাশিস যে চাকরিতে ফিরেছেন, তা জানতে পেরে নেটাগরিকদের একাংশ বিষয়টিকে ‘হতাশাজনক’ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর মতো একজন পরিচালককে আবার চাকরি করতে হচ্ছে বলে, বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে কোনও রকম দোষারোপ করতে চান না ইন্দ্রাশিস। তাঁর কথায়, ‘‘এটা তো আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এ রকম না হলেও হয়তো আমাকে চাকরিতেই ফিরতে হত। কারণ, সবাই তো এখানে নিয়মিত কাজ পান না।’’
সোমবার থেকে অফিস যাওয়া শুরু করেছেন ইন্দ্রাশিস। নতুন কর্মজীবন কেমন লাগছে? হেসে বললেন, ‘‘ভালই লাগছে। এক সময় যে কাজ করতাম, আবার সেখানেই ফিরে এলাম।’’ তিনি কি আর ছবি পরিচালনা করবেন না? ইন্দ্রাশিস বললেন, ‘‘তা কেন! আমি তো এক সময় চাকরি করতে করতেই ছবি পরিচালনা করেছি। তাই আগামী দিনে সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই পরিচালনা করব। তবে এই মুহূর্তে কিছু ভাবছি না।’’
এই মুহূর্তে ‘গাজনের ধুলোবালি’ ছবিটির শুটিং শেষ করতে চান ইন্দ্রাশিস। মাঝে এই ছবির শুটিং ঘিরে সমস্যার সম্মুখীন হন পরিচালক। আপাতত চাকরিতেই মনোনিবেশ করতে চাইছেন ইন্দ্রাশিস। পাশাপাশি, চলতি বছরে তাঁর নতুন ছবি ‘গুডবাই মাউন্টেন’ মুক্তি পাওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy