দিন দুই আগের কথা। টেলিপাড়ায় হঠাৎ শোরগোল, ফের বিয়ের সানাই বাজতে চলেছে। এ বার সাতপাকে বাঁধা পড়বেন ছোট পর্দার চেনামুখ প্রিয়া পাল। গেরুয়া লেহেঙ্গা-চোলিতে হবু কনে সুন্দরী। সঙ্গে ছিমছাম সাজ, গয়না। হাসিমুখে হাতে মেহেন্দি করাচ্ছেন, সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই চর্চা শুরু। অভিনেত্রীও খুশিমনে তাঁর হাতের মেহেন্দি সকলকে দেখাচ্ছেন, সেই ছবি ভাইরাল।
কবে বিয়ে? পাত্র কে? জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার ডট কম। ফোন ধরেই হেসে ফেলেছেন। জানিয়েছেন, নিজের বিয়ের ভুয়ো খবর শুনতে শুনতে ক্লান্ত তিনি। তাঁর কথায়, “বিয়ে করলে লুকোব কেন? বন্ধুর বিয়ে হচ্ছে। তার মেহেন্দিতে গিয়ে হাতে মেহেন্দি করিয়েছি। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই আমার বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ল! গুঞ্জন থামাতেই পারছি না!”
তার পরেই আক্ষেপ তাঁর, “একে শুটের চাপ। দম ফেলার সময় পাই না। তার উপর বিয়ে?” পরক্ষণেই জানিয়েছেন, তাও সময় বার করে প্রেম, বিয়ে সব করবেন। কিন্তু তিনি যে মনের মতো পাত্রই পাচ্ছেন না! “বাংলা বাজারে সুপাত্রের যে কী অভাব! পছন্দ করার মতো কাউকে পাই না। ফলে, আমার প্রেম-বিয়ে কিছুই হয় না।” ইদানীং, বেশির ভাগ নারী-পুরুষ দায়িত্ব নিতে ভয় পান। ‘কমিটমেন্ট ফোবিয়া’য় ভোগেন। এও ভাবেন হয়তো, বিয়ে যদি না টেকে? তাই কি..., কথা ফুরনোর আগেই থামিয়ে দিয়েছেন প্রিয়া। বলেছেন, “আজীবন এমন ভাবে জড়িয়ে থাকব যে বিচ্ছেদের প্রশ্নই উঠবে না। কিন্তু আগে বিয়েটা তো হোক।”
আরও পড়ুন:
ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’তে দাপুটে খলনায়িকা ‘দিব্যা সেন’ চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কেমন পাত্র পছন্দ তাঁর?
জবাবে দাবি, “ব্যবসায়িক পাত্র চাই, যে ইচ্ছে হলেই আমায় বেড়াতে নিয়ে যাবে।” অর্থাৎ, পাত্রকে একাধারে ব্যবসায়ী ও ভ্রমণবিলাসী হতে হবে। প্রিয়ার কথায়, ‘‘বাঙালি মতে বিয়ে সারব। আমাদের বাড়িতে জাতপাতের বিচার নেই।” এখানেই শেষ নয়। একই সঙ্গে পাত্রকে হতে হবে সারমেয়প্রেমী। অভিনেত্রী প্রয়োজনে পথকুকুরদের বাড়িতে এনে শুশ্রূষা করেন। সুস্থ হলে আবার তাঁদের ছেড়ে দেন। তাঁর এই কাজে হাত মেলাতে হবে হবু বরকেও।