স্পষ্ট মতামত রাখেন কর্ণ জোহর। একাধিক সফল ছবি তাঁর ঝুলিতে থাকলেও, নিন্দকেরও অভাব নেই। বিশেষত, যৌন অভিরুচির জন্য প্রায়ই কটাক্ষ ধেয়ে আসে কর্ণের দিকে। পরিচালক-প্রযোজকের দাবি, তিনি জন্মগত নারীবাদী। জন্মের পর থেকেই লিঙ্গসাম্যে বিশ্বাস করে এসেছেন। তবে তাঁর কিছু ছবিতে পুরুষতন্ত্রের জয়জয়কার হয়েছে বলেও সমালোচনা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’।
এক সাক্ষাৎকারে কর্ণ বলেছেন, “আমি ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ তৈরি করার পরে শাবানা আজ়মি আপত্তি জানিয়েছিলেন। আমি কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ভেবেছিলাম। কারণ মননে, চেতনে, অস্তিত্বে আমি আদ্যোপান্ত নারীবাদী। আমি সব সময়ে লিঙ্গসাম্যে বিশ্বাস করি।”
কর্ণ আরও বলেন, “সঠিক লিঙ্গ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি আমি। তাই ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবিটি আমার কাছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার যা বলার দরকার ছিল, এই ছবির মাধ্যমে আমি বলেছি। এটা শুধু পারিবারিক বিষয় নিয়ে একটা ছবি নয়। পুরুষতন্ত্রকে সমালোচনা করার জন্যই এই ছবি তৈরি করা।”
তবে কর্ণের ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিতেও একটি বিশেষ দৃশ্য নিয়ে আপত্তি উঠেছিল। একটি দৃশ্যে কাজল অভিনীত চরিত্র ‘সিমরন’ মদ্যপ হয়ে রাজের (শাহরুখ অভিনীত চরিত্র) সঙ্গে রাত্রিযাপন করেছিল। সেই রাতের পরে রাজ দাবি করে এবং সিমরনকে বিশ্বাস করায়, সে কুমারিত্ব হারিয়েছে। এই দৃশ্যটি নিয়ে সমালোচনা হয়েছে বিভিন্ন মহলে। সেই দৃশ্য নিয়ে কর্ণ বলেছেন, “আমরা সবাই সেটে ছিলাম ওই দৃশ্যের শুটিংয়ের সময়ে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, সেই সময়ে আমরা কেউ ভাবিনি, এত বছর পরে এই দৃশ্য নিয়ে এই ভাবে আলোচনা হবে। সবাই খুব সততার সঙ্গেই কাজটা করেছিলেন।”