দেবী চৌধুরানিতে রাহুল। —নিজস্ব চিত্র
হোলি পেরিয়ে গেলেও ‘দেবী চৌধুরানী’র সেটে থেকে গিয়েছে হোলির আমেজ। চলছে রং মাখামাখি। অভিনেতাদের রোজই শুটিং শেষে রং মেখে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। অথচ গল্পে আর নেই আবির খেলা। এ দিকে ধারাবাহিকের নায়ক ব্রজেশ্বর মানে রাহুল মজুমদার রোজ রোজ একা একা রং মেখে অভিনয় করছেন। কেন তিনি একাই আবির মাখছেন? কেনই বা গল্পে না থাকলেও অন্য অভিনেতাদের আবির মাখা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে?
গল্প অনুযায়ী প্রফুল্লর আমন্ত্রণে ব্রজেশ্বর দোল উৎসবে যোগ দিয়েছেন। সেখান থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ইংরেজ পুলিশ। ফলত পরবর্তী দৃশ্যগুলোয় তাঁর কন্টিনিউয়িটি মেনটেন করতে আবির মাখতেই হচ্ছে। অন্যদিকে সহ-অভিনেতাদের আবির মেখে অভিনয় করতে হচ্ছে না। কিন্তু রোজ সকালে বাড়ি থেকে স্নান করে এসে আবির মেখে অভিনয় করতে করতে দুষ্টু বুদ্ধি তো একটু খেলছেই ব্রজেশ্বরের মাথায়। তিনি তাই শুটিং শেষে ধরে ধরে সহ-অভিনেতাদের রং মাখিয়ে তবেই বাড়ি যাচ্ছেন। এমনকি জুনিয়র আর্টিস্টরাও তাঁর দুষ্টুমি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
কেন এমন করছেন তিনি? অভিনেতা বললেন, “রোজ স্নান করে শুটে গিয়ে রং মেখে মেকআপ করতে হচ্ছে... লাল, হলুদ, বেগুনি... আর সবাই ছাড় পেয়ে যাচ্ছে... আমি ধরে ধরে সব কটাকে রং মাখিয়ে দিয়েছি। আমি একা মাখবো কেন? এগুলো করতেই হবে... একা আমি শাস্তি পাবো?”
আরও পডু়ন: ভাল দেখতে লাগছে আগেও শুনেছি, কিন্তু ভাল অভিনয় ‘নকশি কাঁথা’য় শুনলাম
আরও পডু়ন: বধির কুকুরকে দত্তক নিলেন বধির মানুষ, এ এক অন্য বন্ধুত্বের গল্প
নায়িকা প্রফুল্লকে (সোনামণি দাস) আবির মাখাচ্ছেন না নায়ক? তিনি যোগ করলেন, “প্রফুল্লর শুট থাকে। রং মাখালে সমস্যা। ওর তো রং মাখার সিন নেই এখন। তাও ট্রাই করেছিলাম। কিন্তু মেকআপ নিয়ে ছিল, শুট বাকি ছিল বলে বেঁচে গেছে (দুষ্টুমির হাসি)।”
সবার যখন রং মাখার দৃশ্য ছিল তখন কী করতেন? ব্রজেশ্বর বললেন, “তখন সবাইকে রং মাখতে হচ্ছিল... এসব মাথায় আসেনি... প্যাকআপের পর বাথরুমে সে কি ভিড়! কে আগে স্নান করতে ঢুকবে তাই নিয়ে লাইন পড়ে যেত... আমি লাইন দেখে এসবের মধ্যে যাইনি... রং মেখেই সোজা বাড়ি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy