রানি মুখোপাধ্যায়। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
সিবিএসই-এর দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতি এবং দশম শ্রেণির অঙ্কের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। এ বার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রানি মুখোপাধ্যায়।
রানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘যদি সিলেবাস পরিবর্তন না হয়, আর ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুতি ঠিক থাকে, তা হলে আবার পরীক্ষা হলে কোনও সমস্যা হবে না। যদি প্রথম দিন থেকে কেউ প্রিপারেশন নিয়ে থাকে তা হলে পরীক্ষাটা কোনও ব্যাপারই নয়।’’
প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে দিল্লি পুলিশের একটা দল ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ২৫ জনকে, যাঁদের মধ্যে পড়ুয়ার সংখ্যাই বেশি। প্রাথমিক তদন্তে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েছে পুলিশ। আসল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে তার একশো শতাংশ মিল থাকলেও, সেই প্রশ্নপত্র কিন্তু হাতে লেখা। তবে কি ছাপাখানায় যাওয়ার আগেই তা ফাঁস হয়ে গিয়েছিল? কার ফোন খেকেই বা তা ছড়ানো হয়েছিল? এ রকমই হরেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
সিবিএসই-র প্রশ্ন ফাঁসের পিছনে কোচিং সেন্টারগুলোর হাত রয়েছে কিনা, তা নিয়ে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ স্পষ্ট করে কিছু না বললেও, তদন্তের গতিপ্রকৃতি কিন্তু সেই সম্ভাবনাকেই জোরালো করছে। এখনও পর্যন্ত অবশ্য প্রশ্ন ফাঁসে টাকাকড়ির লেনদেনের কথা দিল্লির ক্রাইম ব্রাঞ্চ স্বীকার করেনি। কিন্তু তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বিক্রি হয়েছিল ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। এবং সেই ঘটনায় পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট।
আরও পড়ুন, ১৫ হাজারে বিক্রি হয়েছিল প্রশ্ন! নজরে কোচিং সেন্টার
এ দিকে সদ্য মুক্তি পেয়েছে রানির কামব্যাক ফিল্ম ‘হিচকি’। পড়ুয়াদের পরীক্ষার কথা ভেবেই ছবি মুক্তি পিছিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ফের পরীক্ষার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় পড়ুয়াদের ছুটির পরিকল্পনায় বিঘ্ন ঘটবে। সে প্রসঙ্গে রানি বলেন, ‘‘অবশ্যই ওদের ছুটির প্ল্যান চেঞ্জ হবে। কিন্তু ওরা খুব ব্রাইট। ওদের কোনও অসুবিধে হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy