খ্যাতনামীরা সব সময়েই বলেন, “বয়স সংখ্যামাত্র।” শাবানা আজ়মি বলেন না, করে দেখান। যেমন, বছর দুই আগে কর্ণ জোহরের ‘রকী ঔর রানী কী প্রেম কহানী’ ছবিতে ধর্মেন্দ্রের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু খেয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। যার জেরে আগামী বছরে কর্ণ হয়তো ধর্মেন্দ্র-শাবানা জুটিকে বড়পর্দায় নতুন করে ফেরাতে চলেছেন।
তারও আগে ‘ফায়ার’ ছবিতে নন্দিতা দাসের সঙ্গে সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাবানা।
শাবানা আজ়মিকে ঘিরে ‘গার্লস গ্যাং’। ছবি: ফেসবুক।
সম্প্রতি, তাঁর ৭৫ বছরের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দিয়া মির্জা। দিয়া এবং বাকি অভিনেত্রীদের সঙ্গে তোলা শাবানার কিছু বিশেষ মুহূর্তের পুরনো ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। ছবি বলছে, শাবানা সব সময় যে কোনও বয়সিদের সঙ্গেই অনায়াস।
দিয়ার ভাগ করে নেওয়া ছবি নিয়ে চর্চা চলছে। কৌতূহলও জেগেছে অনুসরণকারীদের মনে। শাবানা কি তাঁর থেকে ছোটদের সঙ্গে মেলামেশায় বেশি স্বচ্ছন্দ? কারণ মনস্তত্ত্ব অনুযায়ী, কমবয়সিদের সঙ্গে মেলামেশা করলে নাকি মন তাজা থাকে। শাবানাও কি সেই পন্থা অবলম্বন করছেন?
হাসির বাঁধ ভেঙেছে দিয়া মির্জ়া, শাবামা আজ়মি,দিব্যা দত্তের। ছবি: ফেসবুক।
এ বার দেখে নেওয়া যাক, দিয়া ছাড়া আর কে আছেন। ছবি অনুযায়ী, ঊর্মিলা মাতণ্ডকর, কঙ্কনা সেনশর্মা, দিব্যা দত্ত, বিদ্যা বালান যেমন আছেন, তেমন-ই আছেন প্রয়াত অভিনেত্রী রিমা লাগু, পোশাক ডি়জ়াইনার মণীশ মলহোত্র।
দিয়ার ভাগ করে নেওয়া ছবিতে নানা মেজাজে শাবানা। কখনও তিনি সালোয়ার-কামিজে সুন্দরী। কখনও পাশ্চাত্য পোশাকে আধুনিকা। পরের ছবিতেই তিনি আবার শাড়িতে ব্যক্তিত্বময়ী। পোশাকের নানা সম্ভারে সেজে ওঠা শাবানার মাধ্যমে নারীর নানা রূপ প্রকাশিত। ঠিক যে ভাবে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর স্বভাবে কোমলতা আর স্পষ্টবাদের সহবাস।
বলিউড অভিনেত্রীদের বার্তা, ‘দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি’! ছবি: ফেসবুক।
দিয়া অবশ্য শুধুই ছবি দেননি। তিনি মিষ্টি শুভেচ্ছাবার্তাও পাঠিয়েছেন। লিখেছেন, “একজন শিল্পী হিসাবে তোমার প্রতিভা প্রত্যেক প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। তোমার সাহস, তোমার কোমলতা এবং তোমার অদম্য মনোবল আমায় গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। তুমি প্রতি দিন আমাদের মনে করিয়ে দাও, অভিনয় শুধুই শিল্প নয়। মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার মাধ্যম। সমাজকে বার্তা দেওয়ার উপায়। সত্যকে তুলে ধরার আধার।”