এক দল ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অন্য দল মনে করেন, বিতর্ক এড়াতে চুপচাপ থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। খ্যাতনামীরাও মোটেই তার ব্যতিক্রম নন। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে আটজনের ঝলসে মৃত্যুর ঘটনায় এক দল তারকা যখন গলা ফাটাচ্ছেন, অন্য দলটা তখন এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
রামপুরহাট-কাণ্ডে নীরব খ্যাতনামীদের একাংশ
বড়সড় কিছু ঘটলে বরাবরই দু’ভাগ হয়ে যায় সমাজ। এক দল ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অন্য দল মনে করেন, বিতর্ক এড়াতে চুপচাপ থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। খ্যাতনামীরাও মোটেই তার ব্যতিক্রম নন। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে আটজনের ঝলসে মৃত্যুর ঘটনায় এক দল তারকা যখন গলা ফাটাচ্ছেন, অন্য দলটা তখন এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
অনির্বাণ ভট্টাচার্য যেমন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনায় তাঁকে সরব হতে দেখেছে টলিউড থেকে সোশ্যাল মিডিয়া। রামপুরহাটের ঘটনায় তাঁর প্রতিক্রিয়া চেয়ে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। অভিনেতা-পরিচালক সঙ্গে সঙ্গে এক কথায় জানিয়ে দিয়েছেন— এ নিয়ে তাঁর কোনও বক্তব্য নেই।
কার্যত এক কথায় উত্তর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়েরও। রামপুরহাট-কাণ্ড প্রসঙ্গে তাঁর মতামত চাওয়া হলে পরিচালক সোজাসুজি বলেন, “আমার কাজ নিয়ে প্রশ্ন করুন। উত্তর দেব। অন্য কোনও বিষয়ে মন্তব্য করব না।”
গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছেন অন্য ভাবে। তাঁকে যোগাযোগ করা হলে বলেছেন, “আমি জানি না কিছুই। না জেনে কী করে বলি? পুরোটা জেনে নিই। পরে বলছি।” পরে ফোন করা হলে অধরাই থেকে গিয়েছেন তিনি। প্রথম চেষ্টায় ফোনে পাওয়া গিয়েছিল বিধায়ক-পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে। তিনি বলেন, “বিধানসভার বৈঠক রয়েছে। তার পরে এ নিয়ে কথা বলব।” পরে ফোন করা হলে তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে।
ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছিল আরও কিছু তারকাকে। সকাল থেকে বনি সেনগুপ্ত ও কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের ফোন বেজে গিয়েছে একাধিক বার। বিকেলে বনি শুধু জানিয়েছেন, জিমে ব্যস্ত। ফোন কেটে দিয়েছেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা। অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীকেও ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। সাড়া মেলেনি। বিকেলে ফোনে অধরা শ্রীজাত। কবির ফোনে পাঠানো হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজও ডেলিভারড হয়নি।
রামপুরহাট-কাণ্ডে তারকা বা বুদ্ধিজীবীদের একাংশের এমন নীরবতা নিয়ে ফেসবুকে উড়ে এসেছে দেদার কটাক্ষ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সেই দলে ভিড়েছেন কিছু তারকাও। নাম না করে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র যেমন লিখেছেন, “সুখী সুখী পোস্ট তো অনেক হল। সাহস থাকলে এই ঘটনা নিয়ে এক লাইন লিখে দেখান, নয়তো কেটে পড়ুন!’ একই পথে হেঁটে তরুণ পরিচালক অভিষেক সিংহের পোস্ট— ‘এমন একটা ভয়াবহ ঘটনা। তবু সকলে আনন্দের সঙ্গেই বিষয়টা এড়িয়ে থাকছেন। কারণ এ নিয়ে মুখ খুলে তাঁদের কোনও রকম কার্যসিদ্ধি হবে না।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy