‘ক্যারেক্টার ইম্পর্ট্যান্ট আমার কাছে’, ‘সোয়েটার’-এর সেটে দাঁড়িয়ে বললেন অভিনেত্রী।
আপনি তা হলে বেশ কড়া শাশুড়ি মনে হচ্ছে?
হুম...। এখানে ইশার বাবার চরিত্রে রয়েছেন খরাজ। খুব ডেসপারেট বাবা। কোনওরকমে মেয়েকে ঘাড় থেকে নামাতে পারলে বাঁচে। মেয়ের একটা গতি হলে খুব ভাল হয়, এমন মনোভাব। খরাজ মেয়ের হবু শাশুড়িকে বলে দিয়েছে, মেয়ে সোয়েটার বুনতে পারবে। আর আমি বলেছি, এক মাস পরে এসে দেখব সোয়েটার বুনতে পারল কিনা। এটাই ছবির জিস্ট। এই মেয়েটা, মানে টুকুর কাছে এটা একটা চ্যালেঞ্জ। মেয়েটার কনফিডেন্স লেভেল লো দেখানো হচ্ছে। বিভিন্ন কমপ্লেক্সে ভোগে। সেখান থেকে ওর জার্নিটা। লাস্টে গিয়ে হবু শাশুড়ির ভাল লাগবে কিনা, সোয়েটার বুনে ১০-এ কত পাবে, সে নিয়ে ছবিটা।
অনেক দিন পর কিন্তু আপনাকে সিনেমাতে দেখা যাবে। এতদিনের গ্যাপ...অফার ছিল না?
(সামান্য পজ) ছবিতে দেড় বছরের একটা গ্যাপ পড়েছে আমার, এটা ঠিক। কিন্তু এই সময়টা ‘রেশম ঝাঁপি’ বলে একটা সিরিয়াল করছিলাম। সেখানে মেন ক্যারেক্টার ছিল আমার। আর মেগা মানে রোজ স্টুডিওতে ১০-১২ ঘণ্টা করে কাজ। কোনও কিছু নেওয়াই যাচ্ছিল না। অনেক অফার এসেছিল ছবির। শুধু ছোট্ট একটা ওয়েব সিরিজ করতে পেরেছিলাম। ‘ভার্জিন মোহিতো’। রানাদা, সুদেষ্ণাদির। তার বাইরে বিশেষ কিছু করতে পারিনি।
আরও পড়ুন, জন্মাষ্টমীতে নতুন খবর দিলেন অদিতি
আবার মেগায় ফিরছেন?
কামিং অক্টোবর থেকেই হয়তো আবার একটা মেগার শুট শুরু করব। এ ছাড়া ‘ভার্জিন মোহিতো’র সেকেন্ড সিজন শুট করতে হবে। অরিন্দম শীলের সঙ্গেও ওঁর নেক্সট প্রজেক্ট নিয়ে কথা হয়েছে।
মেগার কাজ নিয়ে ক’দিন আগেই একটা বড় সমস্যা ফেস করল ইন্ডাস্ট্রি। আপনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। এ ব্যাপারে আপনার কী মত?
আমার সঙ্গে সে ভাবে কখনও কোনও প্রডিউসরের ঝামেলা হয় না। প্রবাবলি আই অ্যাম ভেরি স্ট্রেট ফরোয়ার্ড অ্যাজ আ পার্সন বলে হয়তো। যখন কাজটা শুরু করি, যেগুলো মনে হয় বলে দেওয়া উচিত, সেই জায়গাগুলো প্রথম দিন থেকেই ট্রান্সপারেন্টলি ক্লিয়ার করে নিই। ‘রেশম ঝাঁপি’তে প্রথম ৫২টা এপিসোড এক ঘণ্টার টেলিকাস্ট হয়েছিল। আমাদের প্রচুর ব্যাঙ্কিং ছিল, এমনও নয়। কিন্তু করেছিলাম তো। আসলে কাজের একটা ডিসিপ্লিন থাকে। আমি আগে থেকেই জানিয়ে দিই, আমি প্রথম কয়েক মাস বেশি সময় দিয়ে কাজ উঠিয়ে দেব। ব্যাঙ্কিংয়ের জন্য। কিন্তু তিন-চার মাস পরে আমি সেটা আর পারব না। তোমাদের ১০ ঘণ্টাতেই নামাতে হবে। আমি ১৮ বছর ধরে মেগা করছি, এই প্রবলেম আমার সঙ্গে কখনও হয়নি। তবে ১৫, ১৬ ঘণ্টা কাজটা ইনহিউম্যান।
আরও পড়ুন, বিয়ের পর কতটা বদলেছে ঋদ্ধিমার জীবন?
ঠিকই, হয়তো সমস্যাটা আপনার নয়। কিন্তু বহু জুনিয়র আর্টিস্ট এই সমস্যা ফেস করছেন...
(প্রশ্ন শেষ করতে না দিয়েই) হ্যাঁ, করছেন তো। আমি তো দেখি আমার কলিগদের, কত কষ্ট হয়। ওরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর অসুস্থ হলেও যেন সবাই সবাইকে সন্দেহ করতে থাকে। হয়তো অসুস্থ নয়, অসুস্থর অভিনয় করছে। বাড়িতে গিয়ে দেখ, বেড়াতে চলে গিয়েছে। এ সব কথা যখন ওঠে তাতেও আমার খারাপ লাগে। আই অ্যাম ভেরি হ্যাপি যে এরকম একটা আন্দোলন শুরু হয়েছিল, আবার সেটা মিটেও গিয়েছে। আশা করব সবার একটু সুবুদ্ধি হবে, আর আমরা সুস্থ ভাবে কাজটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। সবচেয়ে বেশি সাফার কিন্তু করেছেন দর্শক। রিপিট টেলিকাস্ট দেখতে কারও ভাল লাগেনি। তাদের কথাটাও তো ভাবতে হবে...।
ছবি: নিজস্ব চিত্র এবং জুন মালিয়ার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।
(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)