‘ডুব’-এর একটি দৃশ্যে পার্নো।
২০১৬-এ ‘সাহেব বিবি গোলাম’। ২০১৭-র জানুয়ারিতে ‘দ্য বংস এগেন’। শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ‘ডুব’ রিলিজ করছে। এত কম ছবি করেন কেন?
পার্নো: বারো মাসে কি বারোটা ছবি করতে হবে? নাকি ছ’টা? বছরে দু’টো ছবিই তো যথেষ্ট।
অডিয়েন্স কিন্তু অন্য প্রশ্ন করছে।
পার্নো: কী প্রশ্ন?
অডিয়েন্স জানতে চাইছে, আপনি কি অফার পান না?
পার্নো: প্রথমত, এটা অডিয়েন্সের প্রশ্ন নয়। সাংবাদিকদের প্রশ্ন। আর দ্বিতীয়ত, আমার বাড়ি এলে দেখাতে পারব, কত স্ক্রিপ্ট রয়েছে। আমার ভাল লাগেনি বলে করিনি। আর তা ছাড়া বছরে একটা ভাল ছবি করতে পারলেই আমি খুশি। কোয়ালিটিটা ইম্পর্ট্যান্ট।
আরও পড়ুন, পাভেলের হেঁশেলের নতুন রেসিপি ‘চেগু’
‘ডুব’-এ ডুব দিলেন কী ভাবে?
পার্নো: সব মিলিয়ে বলতে পারেন। তবে প্রথম কারণ অবশ্যই ফারুকি। ওর সঙ্গে গল্প করে ভাল লেগেছিল। মনে আছে, প্রথম দেখা হওয়ার পর আট ঘণ্টা গল্প করেছিলাম আমরা। ওর ছবিও দেখেছিলাম। আমাকে তো তার আগে অডিশন দিতে বলেছিল। দেখলাম একটা রোগা, টুপি পরা লোক ঢুকল ঘরে। অডিশন কোথায়? গল্প করতে করতেই সময় কেটে গেল। তার পরে স্ক্রিপ্ট পড়েছিলাম।
তা হলে ইরফান খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করাটা কোনও ফ্যাক্টর ছিল না?
পার্নো: আমি ‘ডুব’-এ কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর জানতে পেরেছিলাম ইরফানও অভিনয় করবেন। সো…।
আরও পড়ুন, ‘এই মুহূর্তে আমি সিঙ্গল, প্রেমে পড়তে চাই’
ছবিটা কি সত্যিই সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের বায়োপিক?
পার্নো: আমি সবাইকে বলতে চাই, এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে প্লিজ হলে গিয়ে ছবিটা দেখুন।
‘ডুব’-এর একটি দৃশ্যে অভিনেত্রী।
অনেক আলোচনা হচ্ছে কিন্তু বিষয়টা নিয়ে।
পার্নো: দেখুন বাস্তবে যা ঘটে আমরা সেটাই ছবিতে তুলে ধরি। ফলে বাস্তবের সঙ্গে তো মিল থাকতেই পারে। তা হলে তো সব ছবি নিয়েই বিতর্ক হবে।
আপনার কাছে কোনও রেফারেন্স ছিল?
পার্নো: না, কোনও রেফারেন্স আমাকে পরিচালক দেননি।
‘নীতু’র মতো চরিত্র আগে কখনও করেছেন?
পার্নো: না! আমার কেরিয়ারের অন্যরকম কাজ এটা।
আরও পড়ুন, রুক্মিণীর সঙ্গে কম্পিটিশন? কোয়েল বললেন…
প্রিপারেশন কেমন ছিল?
পার্নো: মূলত বাঙাল ভাষাটা শিখতে হয়েছে। স্কাইপে ফারুকির সঙ্গে চ্যাটে ওই ভাষায় কথা বলতাম। এই চরিত্রটায় কিছুটা গ্রে শেডস আছে। আমাদের সবার মধ্যেই কিছুটা হিংসুটেপনা, কিছুটা ইনসিকিওরিটি কাজ করে। সেটাই এই চরিত্রে আনতে চেয়েছি।
ফারুকির কাজের পদ্ধতি কেমন?
পার্নো: ও একদম নিজের মতো করে কাজ করে। হয়তো সেটে দু’ঘণ্টা ধরে ক্রিকেট খেলা হল। আবার স্ক্রিপ্টে যেটা রয়েছে সেটা না করে গোটা সিনটাই শটে গিয়ে ইম্প্রোভাইজ করা হল। এই এক্সপেরিমেন্টগুলো খুব ভাল লাগত।
‘ডুব’-এর একটি দৃশ্যে ইরফান।
আর ইরফান?
পার্নো: ইরফান খান বলে আলাদা কোনও ব্যাগেজ ছিল না, এটুকু বলতে পারি।
দর্শকরা ‘ডুব’ কেন দেখবেন?
পার্নো: পুরনো গল্প নতুন ছাঁচে ফেলে বলেছেন ফারুকি। আর ওঁর গল্প বলার পদ্ধতিটা এত সুন্দর, সেটা দেখতেই হলে যেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy