‘চিরসখা’ ধারাবাহিকে ‘প্লুটো’ চরিত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সমাজমাধ্যমের পাতায় অনেক আলোচনা। গত এক সপ্তাহে নবাগত পার্থ বেরা এখন অনেকের কাছেই চেনা নাম। মেদিনীপুরের ছেলে পার্থ নিজেও বুঝতে পারেননি ‘প্লুটো’ চরিত্রটি তাঁর অভিনয়জীবনের বড় অংশ হয়ে উঠবে। মেদিনীপুর থেকে এসে টালিগঞ্জে কাজ পাওয়া খুব একটা সহজ ছিল না তাঁর পক্ষে।
ধারাবাহিকের গল্পে দেখানো হয়েছে, পরিস্থিতির চাপে পড়ে মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছে প্লুটো। নতুন কাহিনি নিয়ে দর্শকের দাবি, প্লুটোকে ফিরিয়ে আনা হোক। এ প্রসঙ্গে লেখিকা জানিয়েছেন, গল্পের নিজস্ব গতি থাকে। সুতরাং দর্শকের চাহিদা অনুযায়ী সব সময় গল্প লেখা সম্ভব নয়। পর্দার ‘প্লুটো’ অর্থাৎ পার্থ মনে করেন, লেখিকা যেটা মনে করবেন সেটাই ঠিক। তাই প্লুটো চরিত্র শেষ হয়ে যাওয়ায় তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই।
মেদিনীপুর থেকে কলকাতায় আসাই একটা বড় ব্যাপার ছিল। সেখানে, তাঁর অভিনীত চরিত্র এত আলোচিত হবে তা তিনি ভাবতেই পারেননি। ২০২১ সালে প্রথম কাজের জন্য কলকাতায় আসা পার্থর। এর আগে মেদিনীপুরেই কলেজ শেষ করেছেন। ‘এডুকশন’ নিয়ে স্নাতক পাশ করেছেন তিনি। পরিবারে রয়েছে মা-বাবা, বোন। বাবার ব্যবসা আছে। অভিনয়ের প্রতি টান থেকেই কলকাতায় আসেন পার্থ।
মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে পার্থ। ফলে প্রথমেই তাঁর মা-বাবা যে অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্তে রাজি ছিলেন, তেমন নয়। পরিবারকে বোঝাতেও অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাঁকে। পার্থ যোগ করলেন, “প্রথম যে দিন কলকাতায় আসি, রাতে থাকার জায়গা পর্যন্ত ছিল না। এক যাত্রাদলের প্রযোজক যদি তাঁর অফিসে রাত কাটানোর জায়গা না দিতেন, তা হলে কোনও এক স্টেশন বা রাস্তার কোথাও রাত কাটাতে হত।” মেদিনীপুরের ছেলে বলেও ধারাবাহিকের সেটে অনেকে তাঁকে ‘আক্রমণ’ করেছে। পার্থ বলেন, “মেদিনীপুরের ছেলে বলে আমায় সব সময় খোঁটা দিত। খারাপ ব্যবহার করা হত।” এখন আর পুরনো কথা মনে রাখতে চান না পার্থ। নতুন সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন অভিনেতা।