Advertisement
০৭ নভেম্বর ২০২৪
Salman Yusuff Khan

ভাষা না জানার জের! বিমানবন্দরেই হেনস্থার শিকার জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী

কন্নড় ভাষা জানেন না তিনি। সেই কারণেই নাকি বিমানবন্দরে হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো পোস্ট করে অভিযোগ জানালেন কোরিয়োগ্রাফার সলমন ইউসুফ খান।

choreographer Salman Yusuff Khan says he was harassed at Bengaluru airport for not knowing Kannada.

কন্নড় ভাষা না জানায় বিমানবন্দরে হেনস্থার শিকার সলমন, জানালেন ভিডিয়ো বার্তায়। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ২২:০৫
Share: Save:

বিমান বন্দরে হেনস্থার শিকার সলমন ইউসুফ খান। দুবাই যাওয়ার পথে বিমান বন্দের হেনস্থার শিকার হন জনপ্রিয় কোরিয়োগ্রাফার। অভিবাসন দফতরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’ খ্যাত নৃত্যশিল্পীর। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে পুরো ঘটনা জানিয়েছেন সলমন।

বেঙ্গালুরুতে থাকেন, তা সত্ত্বেও কন্নড় ভাষা জানেন না। সেই কারণেই নাকি অভিবাসন দফতরের আধিকারিকের কাছে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সলমন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘কেম্পেগউড়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিলাম। সেখানে এক অভিবাসন দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা হয়, যিনি আমার সঙ্গে কন্নড় ভাষায় কথা বলছিলেন। আমি ওঁকে আমার ভাঙা ভাঙা কন্নড়ে বোঝানোর চেষ্টা করি যে, আমি ভাষাটা বুঝতে পারলেও খুব একটা ভাল বলতে পারি না। উনি আমার পাসপোর্টে আমার নাম, আমার বাবার নাম দেখে সন্দেহজনক ভঙ্গিতে জিজ্ঞাসা করেন, আমি বেঙ্গালুরুতে থাকি, আর কন্নড় ভাষায় কথা বলতে পারি না?’’ সলমনের দাবি, তিনি ওই আধিকারিককে জানান, যেহেতু উনি দুবাইয়ে বড় হয়েছেন এবং বেঙ্গালুরুতে বেশি দিন থাকেননি, তাই উনি ভাষাটা ভাল ভাবে রপ্ত করতে পারেননি। কোরিয়োগ্রাফার জানান, তার পরেও নাকি তাঁকে ছাড়েননি ওই আধিকারিক। সলমন লেখেন, ‘‘আমার কথা শুনে উনি বলেন, আমি যদি কন্নড় না বলতে পারি, তাহলে উনি আমাকে সন্দেহ করতে পারেন। উনি দাবি করেন, উনি আমাকে যে কোনও কিছুর জন্য সন্দেহ করতে পারেন।’’ তবে এই ধমকে দমে যাননি সলমন। তাঁকে যোগ্য জবাব দিয়েছেন তিনি, জানান জনপ্রিয় কোরিয়োগ্রাফার।

সলমন জানান, এই ঘটনার পরে তিনি বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানোর চেষ্টাও করেন তিনি। তবে, কেউ নাকি তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। গোটা ঘটনায় বেশ বিরক্ত সলমন। তিনি লেখেন, ‘‘আন্তর্জাতিক স্তরে দেশকে তুলে ধরার পর, দেশের হয়ে স্বীকৃতি পাওয়ার পরেও আমাকে এই ভাবে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়।’’ তাঁর মতে, ‘‘স্থানীয় ও আঞ্চলিক ভাষা শেখার জন্য সব সময় উৎসাহ দেওয়া উচিত, তবে সেই ভাষা না জানলে কাউকে অপমান করা উচিত নয়।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE