প্রিন্স অব পার্সিয়া: দ্য স্যান্ডস অব টাইম
একটা সময় ছিল যখন অরিজিনাল চিত্রনাট্য নয়, বরং কোনও বিখ্যাত উপন্যাস থেকে সিনেমার স্ক্রিপ্ট তৈরির রেওয়াজ ছিল। এখন অবশ্য কদর মৌলিক চিত্রনাট্যের। তবে হলিউডে শুরু হয়েছে আর এক ট্রেন্ড। ভিডিয়ো গেম থেকে তৈরি হচ্ছে ছবি। আর তার একটা সুবিধা হল, ভিডিয়ো গেমটা যদি জনপ্রিয় হয়, তা হলে সেই গেমের ফ্যানরা বড় পরদাতেও ছবিটা দেখতে আসবেনই। গেম থেকে তেমনই কয়েকটা সিনেমা হল...
প্রিন্স অব পার্সিয়া: দ্য স্যান্ডস অব টাইম
ভিডিয়ো গেম থেকে সিনেমা হওয়ার তালিকায় নিঃসন্দেহে প্রথম স্থান পাবে এই ছবিটা। সমালোচকরা যতই বলুক, এ তো মসালা পপকর্ন ফিল্ম ছাড়া কিছুই না, ফ্যানরা কিন্তু হতাশ হননি। ভিডিয়ো গেম রিলিজের পরের বছর ২০০৪ সালেই ছবি করার স্বত্ব কিনে নেয় প্রযোজক সংস্থা। তার ছ’বছর পর বড় পরদায় মুক্তি পায় ছবিটা। বক্স অফিস কালেকশনের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ভিডিয়ো গেম থেকে করা সিনেমার তালিকায় দু’নম্বর জায়গায় রয়েছে ‘প্রিন্স অব পার্সিয়া’।
সায়লেন্ট হিল
ভিডিয়ো গেমের জনপ্রিয়তা পরিচালকদের রাতের ঘুম কতটা কেড়ে নিতে পারে, তার অন্যতম উদাহরণ ‘সায়লেন্ট হিল’। পরিচালক ক্রিস্টফ গান্স পাঁচ বছর ধরে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে, তবে ফিল্ম রাইট্স কিনতে পেরেছিলেন। এতটাই মুখিয়ে ছিলেন যে, গেম নির্মাতাদের একটা ভিডিয়ো ইন্টারভিউ পাঠিয়েছিলেন ক্রিস্টফ। ফিল্ম সমালোচকরা নিন্দা করলেও, বক্স অফিস মুখ ফেরায়নি ‘সায়লেন্ট হিল’ থেকে।
লারা ক্রফ্ট: টুম্ব রাইডার
ভিডিয়ো গেম থেকে তৈরি সিনেমার তালিকায় ‘লারা ক্রফ্ট’ থাকবে না, হতেই পারে না। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অভিনীত এই ছবির শ্যুটিং হয় কম্বোডিয়ায়। শ্যুটিংয়ের লোকেশন রীতিমত টুরিস্ট স্পট। যদিও ছবির শুরু এত সহজে হয়নি। স্ক্রিপ্ট কিছুতেই মনপসন্দ হচ্ছিল না প্রযোজক সংস্থার। তাই ছবির কাজ পিছিয়ে যায় অনেক বার। কিন্তু এত করেও ছবিটা যে খুব শিল্পগুণসম্পন্ন হয়েছিল তা কিন্তু নয়। তবে বাজি মেরেছিল বক্স অফিসে।
লারা ক্রফ্ট: টুম্ব রাইডার
দ্য অ্যাংরি বার্ডস মুভি
গেমের কথা নিশ্চয়ই নতুন করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘অ্যাংরি বার্ডস’ খেলেননি, এমন স্মার্টফোনের মালিক খুঁজে পাওয়া শক্ত। ছবিটাকে সেই মোবাইল গেমের প্রিক্যুয়েল বলা যেতে পারে। কারণ, এই অ্যানিমেটেড ফিল্মে দেখানো হয়েছে পাখিরা ‘অ্যাংরি’ হল কীভাবে। গেমের জনপ্রিয়তা গত বছর বক্সঅফিসেও ভাল মতোই ছাপ ফেলেছিল। প্রযোজক সংস্থার মুনাফা ছাড়ায় বাজেটের পাঁচগুণ।
মর্টাল কমব্যাট
ভিডিয়ো গেম থেকে তৈরি ছবির ইতিহাসে ‘মর্টাল কমব্যাট’য়ের নাম আলাদা করে উল্লেখ করতেই হবে। মাত্র ১৮ মিলিয়ন ডলারে বানানো সিনেমা বক্স অফিস থেকে
রোজগার করে ১২২ মিলিয়ন! সিনেমার বিষয়বস্তু মূলত দু’টো গেম থেকে নেওয়া। পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য সংগ্রামে নামতে হবে লিউ ক্যাং’কে। অবশ্য শুধু সিনেমাতেই থেমে থাকেনি এই ফ্রা়ঞ্চাইজি। উপন্যাস, অ্যানিমেটেড প্রিক্যুয়েল... চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি প্রযোজনা সংস্থা। তবুও এ ছবির দর্শক হতাশ করেনি নির্মাতাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy