রুক্মিণী মৈত্র।
মায়ের সঙ্গে বাড়ির কাজে হাত মেলাচ্ছেন তিনি। হাউজ স্টাফরা এখন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে। গৃহবন্দি রুক্মিণী মৈত্র। গত ১৬ মার্চ, সুইৎজারল্যান্ডে শেষ শুট করেছেন রুক্মিণী। “২ মার্চ দিল্লিতে করোনাভাইরাস নিয়ে খবরটা ছড়ানোর পর আমি টুইট করেছিলাম। তখন যদিও সবাই বলছিল, বিষয়টা অত সিরিয়াস নয়।” আনন্দবাজার ডিজিটালকে বলছিলেন রুক্মিণী, কাজ না থাকলে যিনি এমনিতে বাড়িতে থাকতেই ভালবাসেন।
নিজের ওয়াড্রোব গোছাচ্ছেন, গাছ পুঁতছেন, আর ক্যাটরিনা কইফের মতো বাসন মাজছেন এখন। “আমি কাজের কোনও ছবি তুলে পোস্ট করিনি। আর সেটা করতেও চাই না,” জানালেন রুক্মিণী, যিনি ইদানীং বই পড়ে আর মায়ের সঙ্গে সময় কাটিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।
করোনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রথমেই প্রশাসনের প্রশংসা করলেন তিনি। “যে ভাবে এই মারণ রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন এগিয়ে এসেছেন সেখানে মানুষের উচিত তাকে সহযোগিতা করা। একা প্রশাসন আর কত করবে?” প্রশ্ন তুলে রুক্মিণী মানুষের সতর্ক হওয়ার বিষয়টি আরও জোরালো করলেন।
আরও পড়ুন- পরিচারিকার ছুটি, গৃহবন্দি ক্যাটরিনা শেখালেন বাসন মাজার সহজ উপায়
তিনি আশাবাদী। বলছেন, “হু থেকে আজ দেখলাম লিখছে, এই অতিমারীকে একমাত্র ভারতের মতো দেশ অতিক্রম করতে পারবে। আমি এটা টুইটও করেছি। আগে তো স্মল পক্স-এর সঙ্গে আমাদের দেশ লড়াই করেছে। আমরা ঠিক পারব। এখন ভারতের ইউনিটি দেখানোর সময়।” উত্তেজিত রুক্মিণী।
তিনি মনে করেন, এই কঠিন বাস্তব চিত্র আমাদের নিজেদের যাচাই করার জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে। রুক্মিণী বললেন, “আমরা যে ভাবে প্রকৃতিকে রোজ ধ্বংস করেছি, ইকো সিস্টেম ক্র্যাশ করে দিয়েছি, সারা ক্ষণ বলেছি নিজেরা ব্যস্ত, প্রকৃতি তাই এ বার ঘুরে দাঁড়িয়ে বলেছে, থামো! নিজেকে দেখ! আজ তাই মানুষের মতো বুদ্ধিমান জীব সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। কই পশু-পাখি তো করোনায় মরছে না!” বিষয়কে বিশ্বের নিরিখে দেখছেন অভিনেত্রী। অন্য দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ভিডিয়ো কল চলছে।
আর দেব?
“প্লিজ, এই উত্তর দিয়ে হেডলাইন করবেন না।” বাকি বন্ধুদের মতো দেবের সঙ্গেও ভিডিয়ো কল চলছে।
আর ঝগড়া? “দেবের সঙ্গে এমনিতেও আমি ঝগড়া করি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy