রাত বারোটার তিন মিনিট আগে টুইট করলেন অভিষেক। ‘‘আজ বাবা আর আমি দু’জনেরই করোনা পজ়িটিভ এসেছে। দু’জনেরই খুব সামান্য সিস্পটম ছিল। আমরা হাসপাতালে চলে গিয়েছি। প্রশাসনকে জানিয়েছি। বাড়ির সকলের পরীক্ষা করানো হচ্ছে। সকলের কাছে অনুরোধ, শান্ত থাকুন। আতঙ্কিত হবেন না। ধন্যবাদ।’’ জলসা এবং প্রতীক্ষা, বচ্চনদের দু’টি বাংলোই সিল করে দিচ্ছে পুরসভা। ভারতে করোনার প্রকোপে এক নম্বরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। শনিবার পর্যন্ত সে রাজ্যে মোট ২ লক্ষ ৩৮ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ৯৮৯৩।
আরও পড়ুন: মল্লিক বাড়িতে করোনার হানা, কী সাবধানতা নিচ্ছেন পড়শি তারকারা?
অমিতাভর সাম্প্রতিক ছবি ‘গুলাবো সিতাবো’ ইন্টারনেটে মুক্তি পায়। লকডাউন পর্বে মে মাসে তিনি কেবিসি-র নতুন সিজ়ন-এর জন্য প্রোমো শুট করেছিলেন। তা নিয়ে খানিক বিতর্কও হয়েছিল। কেবিসি-র প্রতিযোগী বাছাই পর্বের কাজ শেষ হয় কিছু দিন আগে। তাতে অমিতাভ ছিলেন না। অমিতাভকে নিয়ে মূল পর্বের শুটিং শুরু করা যায়নি। কারণ মহারাষ্ট্র সরকার ৬৫-ঊর্ধ্ব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের শুটিং করার অনুমতি দেয়নি। ফলে অমিতাভ মূলত বাড়িতেই থাকছিলেন। টুইট করছিলেন নিয়মিত। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভক্তদের সাহস দিচ্ছিলেন। তার পরেও কী ভাবে ভাইরাস তাঁকে আক্রমণ করল, ভক্তরা ভেবে পাচ্ছেন না।
এ পর্যন্ত করোনা পর্বে বলিউডে কর্ণ জোহর, জাহ্নবী কপূর, আমির খানের পরিচারকদের করোনা হওয়ার খবর মিলেছিল। রেখার বাড়ির এক পরিচারকের করোনা ধরা পড়ায় এ দিনই বান্দ্রায় তাঁর বাংলো সিল করে দেওয়া হয়। আবার এ দিন রাতেই অমিতাভর করোনার খবর এল। ফলত করোনাতেও তাঁদের নাম জুড়ে গেল একসঙ্গে।
তবে তারকাদের সরাসরি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অমিতাভকে দিয়েই শুরু হল। বলিউডের অন্দরমহল এবং তামাম ভক্তকুল প্রার্থনায় বসেছেন। অমিতাভ তাঁর লড়াকু সত্তা দিয়ে করোনাকে হারাবেনই, বিশ্বাস করছেন তাঁরা। অনেকে মনে করাচ্ছেন, ‘কুলি’ ছবির সেটে মারাত্মক দুর্ঘটনাও সামলে উঠেছিলেন অমিতাভ। ভাইরাস তাঁকে কাবু করতে পারবে না। আশার খবর শুনিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে-ও। জানিয়েছেন, বচ্চনের অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।