Advertisement
E-Paper

‘যুবভারতীতে পুলিশ অত্যাচারী, অন্যত্র রক্ষক! বৈষম্য কেন?’, আহত পোশাকশিল্পী সন্দীপের প্রশ্ন

“যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কেউ আইন ভাঙেননি। কেউ প্রশাসনের ব্যারিকেড টপকে এগিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেননি। তার পরেও পুলিশ লাঠিপেটা করল!”, অভিযোগ সন্দীপের।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ১৫:৫৫
Image Of Dress Designer Sandip Jaiswal

পুলিশি দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ পোশাকশিল্পী সন্দীপ জয়সওয়াল। গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ।

তাঁর কোমরে, সারা গায়ে পুলিশি লাঠির বাড়ি। চেয়ারে বা কমোডে বসতে পারছেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ, কয়েক দিন পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। একই অবস্থা তাঁর গাড়ির চালকেরও। তাঁর বাঁ হাত নাড়তেই পারছেন না। রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রতিবাদ মিছিলে যোগদানের পর এমনই অবস্থা পোশাকশিল্পী সন্দীপ জয়সওয়ালের। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, “রবিবারের যুবভারতী যেন রণক্ষেত্র! প্রশাসন যাকে পেরেছে, তাকেই লাঠিপেটা করেছে। আমি আড়াল করে না দাঁড়ালে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধা পুলিশের লাঠির বাড়ি খেতেন। ওঁর বদলে সেই আঘাত আমার লেগেছে।”

কাউকে বাঁচাতে গিয়ে মার খেয়েছেন বলে বিন্দুমাত্র আফসোস নেই তাঁর। উল্টে ক্ষুব্ধ পোশাকশিল্পী বুঝেই উঠতে পারছেন না, কেন পুলিশ গতকাল ও রকম রণমূর্তি ধরল! তাঁর কথায়, “যত জন যুবভারতীতে গিয়েছিলেন, প্রত্যেকে আইন মেনেছেন। কেউ প্রশাসনের তৈরি ব্যারেকেড ভাঙেননি। নির্দিষ্ট করে দেওয়া জায়গায় দাঁড়িয়েই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তার পরেও ওরা এত নৃশংস!” সন্দীপের দৃ়ঢ় বিশ্বাস, “প্রতিবাদীদের মনে ভয় ধরাতেই এই পুলিশি বর্বরতা। অন্যদের কথা থাক, আমার দিকেই পুলিশ যখন লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এসেছিল, ভয়ে বুকের ভিতর কেঁপে উঠেছিল।” তাঁর মতে, এই ভয় নিশ্চয়ই অন্যদের মনেও একই ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল।

সন্দীপ কিন্তু এখানেই থামেননি। তিনি একই শহরের দু’টি জায়গায় পুলিশি আচরণের রকমফের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, “রবিবার শহরে একাধিক মিছিল ছিল। যুবভারতী আর শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে পৃথক দু’টি মিছিল পৌঁছয়। যুবভারতীতে পুলিশ নৃশংস। অথচ, উত্তর কলকাতায় তারাই রক্ষক!” কেন এই বৈষম্যমূলক আচরণ? কেনই বা দ্বিচারিতা! প্রশ্ন তাঁর।

RG Kar Protest Sandip Jaisawal Vivekananda Yuba Bharati Krirangan Protest Rally East Bengal Mohun Bagan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy