মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রকাশ কৌরেরর সঙ্গে বিয়ে হয় ধর্মেন্দ্রের। তাঁদের চার সন্তান। এর পরে, ১৯৭০ সালে সিনেমার সেটে হেমা মালিনীর সঙ্গে আলাপ হয় অভিনেতার। ধর্মেন্দ্র ও হেমার প্রেমকাহিনি সেই সময়ের অন্যতম চর্চিত বিষয় ছিল। ১৯৮০ সালে হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। শোনা যায়, হেমাকে বিয়ে করার দু’বছরের মাথায়, বয়সে ২৬ বছরের ছোট অভিনেত্রী অনিতা রাজের প্রেমে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন:
একটা সময় অভিনেত্রী সুরাইয়ার রূপের পূজারী ছিলেন ধর্মেন্দ্র। এক কথায়, সুরাইয়ার রূপ ও গুণের একনিষ্ঠ অনুরাগী ছিলেন বলিউডে ‘হি ম্যান’। শুধুই অনুরাগ নয়, ধর্মেন্দ্র একসময় সুরাইয়ার প্রেমেও পড়েছিলেন বলে শোনা যায়। এর পরে মীনা কুমারীর সঙ্গেও প্রেমের গুঞ্জন শোনা যায় তাঁর। যদিও অবশেষে হেমার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় তাঁর। শোনা যায়, এর পরে প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে দীর্ঘ সাংসারিক অশান্তি শুরু হয় তাঁর। অভিনেতার জুহুর বাড়িতে নাকি ঢোকারও অনুমতি মেলেনি হেমার। অভিনেতা যখন গুরুতর অসুস্থ, তখনও এই নিয়মের নড়চড় হয়নি বলেই জানা যায়।
তবে শোনা যায়, হেমার সঙ্গে বিয়ের পরেও অভিনেত্রী অনিতা রাজের প্রেমে পড়েন। ১৯৮৩ সাল থেকে তাঁরা একসঙ্গে প্রায় গোটা দশ ছবিতে অভিনয় করেন। সেই সময় তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন শোনা যেত ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। অবশেষে গোটা বিষয়টির মধ্যে নাকি ঢুকতে বাধ্য হন হেমা। গোটা পরিস্থিতি নাকি বেশ কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন তিনি। অনিতা রাজের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রেও নাকি নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হেমা। শোনা যায়, তখনই সিনেমার পর্দা ছাড়তে হয় অনিতাকে। তার পর টেলিভিশনে কাজ শুরু করেন তিনি। এই মুহূর্তে জনপ্রিয় ‘ইয়ে রিশ্তা কেয়া কহেলতা হ্যায়’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।