পরিচালকের অনুমান, ‘তাণ্ডব’ ওয়েব সিরিজ় কে ঘিরে বিতর্কই স্ট্রিমারদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
রাজনৈতিক জটিলতাতেই মুক্তি আটকে গেল বাঙালি পরিচালকের ছবির? নেটফ্লিক্সে ‘তিস’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না, জানালেন পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়।
বলিউডের বাঙালি পরিচালকদের মধ্যে দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত পরিচিত নাম। পরিচালকের অনুমান, ‘তাণ্ডব’ ওয়েব সিরিজ় কে ঘিরে বিতর্কই স্ট্রিমারদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিই এর জন্য দায়ী বলে মনে করেন পরিচালক।
২০১৯ সালে ‘তিস’-এর কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এটি একটি ভারতীয় পরিবারের গল্প। যার ভিতরে প্রতিফলিত হয়েছে তিন প্রজন্মের ব্যক্তিগত দর্শন ও যৌনতা সম্পর্কিত ইতিহাস। নাসিরউদ্দিন শাহ, মনীষা কৈরালা, কল্কি কেঁকলা, দিব্যা দত্ত, হুমা কুরেশির মতো অভিনেতা এ ছবির আকর্ষণ। ২০২০ সালে ছবির শুটিং শেষ হয়। গত বছর ছবিটি নেটফ্লিক্সে দেন দিবাকর। কিন্তু কয়েক মাস চুপচাপ থাকার পর সংশ্লিষ্ট ওটিটির তরফে জানানো হয় যে, এটি তারা প্রচার করবে না। কেন?
দিবাকর বলেন, “নেটফ্লিক্স এই ছবির মুক্তি আটকানোর পিছনে অন্য কোনও যুক্তি দিতে পারেনি। তারা কেবল অনিশ্চিত ছিল এই বিষয়ে যে, বর্তমান সময় ছবির মুক্তির উপযুক্ত সময় কি না।”
প্রাথমিক ভাবে ছবির নাম ছিল ‘ফ্রিডম’। দিবাকরের দাবি, এতে বিরাট কিছু রাজনৈতিক বক্তব্য নেই। কিন্তু তিনি চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি দেখাতে পারেননি নেটফ্লিক্সের বাধায়। কিন্তু ছবিটি কেউ কিনতে চাইলে তাঁদের কাছে ছবির লিঙ্ক পৌঁছে দিতে অবশ্য বাধা ছিল না তাঁর।
দিবাকরের বক্তব্য, “‘তাণ্ডব’ যে ধরনের প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছে, সেই একই প্রতিক্রিয়া এই ছবির ক্ষেত্রেও হতে পারে, সেই ভয় থেকেই ছবির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমার ছবির বিষয়বস্তু ওই ছবিটির চেয়ে একেবারেই ভিন্ন।”
২০২১ সালে মুক্তি পেয়েছিল আলি আব্বাস জ়াফর পরিচালিত ‘তাণ্ডব’। হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছিল সেই ওয়েব সিরিজ়ের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রাইম ভিডিয়ো-এর কাছে জবাবদিহি চেয়ে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। প্রতিবাদ জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই ঘটনার সঙ্গে তুলনা টানলেন দিবাকর।
পরিচালকের কথায়, “‘তিস’ তেমন কোনও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো বিষয় নয়। এর গল্প একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের তিন প্রজন্মের রোজকার গল্প। তা ছাড়াও আমি বিশ্বাস করি, এখনও পর্যন্ত এটিই আমার সেরা কাজ। আমার খারাপ লাগছে, যাঁদের জন্য বানালাম তাঁরাই এ ছবিটি দেখতে পাবেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy