২০২৫-এর পুজো চেনা ছবিকে বুঝি বদলে দিতে চলেছে! এত কাল ‘দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন’ করে ছবির নায়ক মহিলা দর্শকদের থেকে বীরপুজো পেয়েছেন। এ বছরের পুজোয় মুক্তি পাওয়া ‘রক্তবীজ ২’ বলছে, খলনায়ক ‘মুনির আলম’ অঙ্কুশ হাজরা তাঁর অনুরাগিনীদের চোখে নায়ক! কাছে পেলেই তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন মহিলা ভক্তেরা।
শেষ কবে এত জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অঙ্কুশ? তাঁর ‘শিকারপুর’ বা ‘মির্জা’ অবশ্যই প্রশংসিত। কিন্তু এ ভাবে খ্যাতির জোয়ারে ভেসেছিলেন কি?
অভিনেতার ঝকঝকে হাসি বলে দিচ্ছে, নেতিবাচক চরিত্র তাঁর কাছে ‘ইতিবাচক’ হয়ে ফিরেছে। ছবির বিশেষ প্রদর্শনের দিন আনন্দবাজার ডট কম-কে বলেছিলেন, “নন্দিতাদি-শিবুদার ছবির এটাই ম্যাজিক।” সেটা বুঝেই কি তিনি এই চরিত্রে রাজি হয়েছিলেন? তাও আবার পুজোর সময়! অঙ্কুশের কথায়, “সে দিক থেকে দেখতে গেলে, বড়পর্দায় এটাই আমার প্রথম খলনায়ক হয়ে আসা। কিন্তু চিত্রনাট্য শোনার পরে মনে হয়েছিল, ‘মুনির আলম’ ভীষণ মানবিক, জীবন্ত। সাধারণ মানুষ ওর যন্ত্রণা, ওর ক্ষোভ বুঝতে পারবে।”
অঙ্কুশ হাজরা বনাম আবীর চট্টোপাধ্যায়? ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর উপলব্ধি, ছবি দেখতে দেখতে সেটাই ঘটেছে। দর্শক তাই ফেলে দিতে পারছে না তাঁকে। “মুনির যেমন নায়ক নয়, তেমনি প্রকৃত অর্থে খলনায়কও নয়। এক মেধাবী চিকিৎসক পরিস্থিতির চাপে, মানবিক কারণে হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছে। যা দেশে-বিদেশে আকছার ঘটছে”, দাবি অঙ্কুশের। এই প্রসঙ্গে তিনি উদাহরণ দিয়েছেন ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর। জানিয়েছেন, যাঁরা অকারণে সন্ত্রাসবাদের শিকার তাঁদের পরিবারের প্রত্যেকের মনে কিন্তু ‘মুনির আলম’-এর মতোই ক্ষোভ জমে রয়েছে। পার্থক্য এটাই, তাঁরা ছবির খলনায়কের মতো প্রকাশ করতে পারছেন না।
অভিনেতার ধারণা, এই যন্ত্রণা মেয়েরা বেশি অনুভব করতে পারেন। তাই হয়তো ছবির শেষে দর্শকের থেকে নায়কের বদলে তিনি বীরপুজো পাচ্ছেন!