প্রেম দিবস কাটতে না কাটতেই বিনোদন দুনিয়ায় ফের বিচ্ছেদের সুর। গত ১৮ অগস্ট সমাজমাধ্যমে তাঁদের ১৯ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানার খবর ভাগ করে নিয়েছিলেন শিল্পী, লেখক মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়। মধুজার আরও একটি পরিচয়, তিনি পরিচালক-গায়ক-অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। নতুন বছরে সেই বিচ্ছেদে আইনি সিলমোহর পড়তে চলেছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই সম্ভবত আইনত বিচ্ছিন্ন হতে চলেছেন অনিন্দ্য-মধুজা।
আনন্দবাজার অনলাইন দু’জনের সঙ্গেই যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল। তাঁরা নীরব।
গত অগস্টে কলকাতা উত্তাল হয়েছিল আরজি কর-কাণ্ডে। নির্যাতনে মৃতা তরুণী চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে প্রতি দিন পথে নেমেছিলেন অধিকাংশ শহরবাসী। তখনই মধুজা এক রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় সমাজমাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের পঙ্ক্তি ধার নিয়ে লিখেছিলেন, “মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে, উধাও মনের আহা উধাও মনের পাখা মেলবি আয়।” এ-ও জানিয়ছিলেন, গত ১৪ বছর ধরে ঘরে-বাইরে লড়তে লড়তে ক্লান্ত তিনি। তাই কলকাতা থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে ২০১৯-এ মুম্বইয়ে পাড়ি দেন। সঙ্গী একমাত্র সন্তান জুজু। সেই দূরত্বই সম্ভবত দম্পতিকে তাঁদের প্রকৃত অবস্থান বুঝতে সহযোগিতা করেছে।
দাম্পত্য দূরত্বের মধ্যেই অনিন্দ্য-মধুজা তাঁদের সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে যান। সম্ভবত, মিটমাটের ভাবনা থেকেই। কিন্তু সেই মিলন যে সাময়িক, সে কথা চিত্রশিল্পী, লেখিকা নিজেই পরে জানান। মধুজা সমাজমাধ্যমে সরব হলেও অনিন্দ্য সে দিনও নীরব, এখনও। এই বিচ্ছেদ তাঁদের যথেষ্ট ব্যথাতুর করেছে, এ কথা জানাতেও ভোলেননি মধুজা। লিখেছিলেন, “অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা-মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে— বন্ধুত্বের হয়তো না। আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!’’
এর থেকেই স্পষ্ট, অনিন্দ্য-মধুজা একযোগেই সন্তানের দেখভাল করবেন।