উস্তাদ রাশিদ খান এবং শ্রীজাত।
একজন রামপুর সেহসওয়ান ঘরানার ধারক ও বাহক। আর একজন এই সময়ের বিশিষ্ট বাঙালি কবি।
উস্তাদ রাশিদ খান ও কবি শ্রীজাত। এবার আঁটঘাট বেঁধে অ্যালবাম তৈরির কাজে নামছেন দু’জন।
কী ভাবে সূত্রপাত এই কাজের? শ্রীজাত বললেন, ‘‘একদিন সকালে হঠাৎ আমাকে রাশিদদা ফোন করে দু কলি গান গেয়ে শোনালেন রঞ্জিনী রাগে। সেই সঙ্গে বললেন, ‘ভাবছি আসরে গাইব। একটা ঠুমরি লিখে দিবি?’’’ আর তাই শুনেই শ্রীজাত লিখে ফেলেন একখানা গান। ‘পি তো গয়ে, পি কা রং জায়ে না।’ যার অর্থ প্রিয় চলে গিয়েছে, কিন্তু তার রং মুছে যায়নি।
শ্রীজাতর লেখা ঠুমরিটি ভারী পছন্দ হয়ে যায় রাশিদ-এর। প্রথম লেখা গানটি শুনেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন শুধু আসরে শ্রীজাতর লেখা একটি গানই গাইবেন না, শ্রীজাতর লেখা মোট ছ’টি গান নিয়ে নতুন ধরনের ঠুমরির অ্যালবাম করবেন নতুন প্রজন্মের জন্য।
কিন্তু নতুন ধারার অ্যালবামের কথা কেন ভাবলেন উস্তাদ রাশিদ খান? ‘‘নতুন প্রজন্ম সব সময়ই এক্সপেরিমেন্ট পছন্দ করে। সেই জন্যই আমি নতুন ধরনের অ্যারেঞ্জমেন্টে ঠুমরি গাইবার কথা ভাবছি,’’ বলছেন উস্তাদজি।
কতই তো খানদানি ঠুমরি গীতিকার আছেন, কিন্তু শ্রীজাতকে দিয়ে গান লেখাবার কথা ভাবলেন কেন গায়ক? ‘‘কারণ শ্রীজাত লেখে ভাল। এবং ঠুমরি লেখার যোগ্য সে। সেই জন্যই শ্রীজাতকে দিয়ে গান লেখাবার কথা ভেবেছি,’’ বলছেন রাশিদ। অন্য দিকে শ্রীজাতও অনেক দিন ধরেই রাশিদ-অনুরাগী। তিনি বললেন, ‘‘রাশিদদা আমার প্রিয়শিল্পীদের একজন। এই সময় ওঁর মতো গান গাইবার মানুষ কম। আর আমিও এই ধরনের গান লেখার সুযোগ খুব পাই না। তাই সব মিলিয়ে এই কাজটা নতুন ভাললাগা নিয়ে এসেছে।’’
আনাচে কানাচে
আজা মেরি গাড়িমে... : নতুন কেনা মার্সেডিজের
সামনে সেলফি তুলছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী।
ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy