নীলের আভা ছড়ানো সিক্যুইনের কাজ করা পাঞ্জাবি। সাদা, নরুন পাড় ধুতি। চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। গা ডোবানো সোফায় বসে ‘বাবু’ প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়। পর্দায় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বৃত্ত বুঝি সম্পূর্ণ হল। তবু গা থেকে ‘তুম বিন’-এর গন্ধ মুছল কই? একটা প্রেম বা পরকীয়াও নেই! আনন্দবাজার ডট কমের প্রত্যেক প্রশ্নের জবাব দিলেন অভিনেতা।
প্রশ্ন: বাংলা ছবিতে প্রিয়াংশুকে আবার স্বাগত...
প্রিয়াংশু: (হেসে ফেলে), ধন্যবাদ। হ্যাঁ, অনেক দিন পর আবার বাংলায় কাজ।
প্রশ্ন: এত দেরি করে ফেরেন কেন?
প্রিয়াংশু: (প্রচণ্ড জোরে হাসি), আমার কোনও দোষ নেই! একা হাতে নিজে সব সামলাই। কখনও মুম্বইয়ে কাজ থাকে। বাড়ির কাজ থাকে। নিজের কাজের দায়িত্বও নিজে সামলাই। মানে, আমার কোনও সহকারী নেই। সে সব মিলিয়েই দেরি হয়ে যায়। বাংলা ইন্ডাস্ট্রি থেকেও তো ডাক পেতে হবে! তাছাড়া, আমার শেষ ছবি ভাল ফল করেছে মানে পরপর পাঁচটি ছবি করতে হবে বা ব্যবসা খারাপ করেছে বলে বেশি বেশি কাজ করতে হবে— দুটোর একটাও ভাবি না। আবার ব্যবসায়িক বুদ্ধিও নেই। ফলে, যখন ডাক পাই, চরিত্র পছন্দ হলে রাজি হয়ে যাই। কোনও ইঁদুরদৌড়ে নেই।
প্রশ্ন: সায়ন্তন ঘোষালের ‘রবীন্দ্র কাব্য রহস্য’ আপনাকে টেনেছে...
প্রিয়াংশু: আমি রাজি হইনি। আমায় রাজি করানো হয়েছে। পরিচালক সায়ন্তন, প্রযোজক হিমাংশু ধানুকা—সকলে মিলে বুঝিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চরিত্রটি আমায় ভেবেই লেখা। একমাত্র আমাকেই ওই চরিত্রে মানাবে। ওঁদের দৃষ্টিভঙ্গি, ওঁদের আত্মবিশ্বাস আমায় ছুঁয়ে গিয়েছিল। কারণ, স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি রবীন্দ্রনাথের চরিত্রে অভিনয় করব। যেমন ভাবিনি, কখনও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর বা সত্যজিৎ রায় হব।
প্রশ্ন: ‘মনের মানুষ’ ছবির জ্যোতিরিন্দ্রনাথ থেকে সায়ন্তনের ছবির রবীন্দ্রনাথ— বৃত্ত সম্পূর্ণ হল?
প্রিয়াংশু: বৃত্ত সম্পূর্ণ হল কি না জানি না, তবে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ আমায় রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। নতুন কাজ করতে গিয়ে আমার আগের কাজ মনে করেছি। ‘মনের মানুষ’ করার সময় গৌতম ঘোষ আমায় ঠাকুরবাড়ির ইতিহাস খুঁটিয়ে পড়তে বলেছিলেন। সেটা অনেকটাই সাহায্য করেছে।
প্রশ্ন: রবীন্দ্র রচনাবলি পড়লেন?
প্রিয়াংশু: না, আমি তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনীছবিতে অভিনয় করছি না! তথ্যচিত্রও নয়। (একটু থেমে) ভাগ্যিস করছি না। অতটাও আমার দ্বারা হবে না। পরিচালক আমায় যে ভাবে ফোটাতে বলেছিলেন সে ভাবেই চরিত্র হয়ে উঠেছি। ‘রবীন্দ্র কাব্য রহস্য’ আদতে একটি থ্রিলার ছবি। তার জন্য চিত্রনাট্যের খাতিরে যতটুকু রবীন্দ্রনাথকে প্রয়োজন ততটুকুই হয়েছি।
প্রশ্ন: অনেক দিন পর বাংলায় ফিরলেন। পর্দায় কত ক্ষণ থাকবেন?
প্রিয়াংশু: এই রে, আমি তো ঘড়ি ধরে দেখিনি কত ক্ষণ পর্দায় থাকব! (জোরে হাসি) না না, মজা করলাম। শুরুতে আমিই বুঝে উঠতে পারছিলাম না, কী করে ১০০ বছর আগের আর পরের সময়, রবীন্দ্রনাথ, তাঁর নোবেল প্রাপ্তি, লন্ডন, শান্তিনিকেতন, কলকাতা— সবটা দেখানো হবে। সায়ন্তন এই প্রজন্মের একজন দক্ষ পরিচালক। চিত্রনাট্য শোনাতেই বিষয়টি পরিষ্কার হল। এক দিন কলকাতায়, আর চার দিন লন্ডনে শুটিং করেছি। প্রত্যেকটি দিনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। প্রত্যেকটা বল মাঠের বাইরে পাঠাতে হবে— এটাই একমাত্র চিন্তা ছিল। খুব চাপে ছিলাম। যদিও এই চাপই ভাল কাজ করিয়ে নেয়। ফলে, পর্দায় কত ক্ষণ থাকব— এই চিন্তা মনে আসেনি।
প্রশ্ন: একই চরিত্রে ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় অভিনয় করেছেন। শোনা যাচ্ছে, অনুপম খেরও নাকি রবীন্দ্রনাথ হবেন। নিজেকে কত নম্বরে বসাবেন?
প্রিয়াংশু: আমি বসাব কেন! ২০ জুন ছবিমুক্তির পর দর্শক বসাবেন। আমিও তো সেটাই ভাবছি, দর্শক আমায় কত নম্বর দেবেন। ভালই পাব, কী বলেন? মনে হচ্ছে, পাশ করে যাব। ফেল করব না (আবার জোরে হাসি)।
প্রশ্ন: ২০০১ থেকে ২০২৫। ২৪ বছরের লম্বা অভিনয় সফর। কত রকমের চরিত্র করলেন। গা থেকে প্রথম ছবি ‘তুম বিন’-এর গন্ধ মুছল না!
প্রিয়াংশু: আসল ঘটনা বলি। ‘তুম বিন’ প্রযোজক ভূষণ কুমার, পরিচালক অনুভব সিংহ, আমি— আমাদের প্রত্যেকের প্রথম ছবি। ওই ছবিই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ণায়ক। ফলে, সকলেই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। ছবি তৈরির সময়টাও সঠিক ছিল। ঠিক সময়ে যে কাজ হয় সেটা এ ভাবেই ক্লিক করে, থেকে যায়। ‘তুম বিন’ও তাই এখনও আমার সঙ্গে থেকে গিয়েছে। আমি এর জন্য কিছুই করিনি। আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও এটাই হত। বলিউড বলে, ভাল ছবি তৈরি করা যায় না, ভাল ছবি তৈরি হয়ে যায়। আমি বিশ্বাস করি।
প্রশ্ন: সে সময়ে বলিউডে বাঙালি অভিনেতা বলতে আপনি আর ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। সকলে আপনার উপরে খুব আশা করেছিল...
প্রিয়াংশু: ইন্দ্রনীল আমার থেকে অনেক ছোট। (মুখ কাঁচুমাচু করে) দর্শকদের আমার উপরে অনেক আশা ছিল বুঝি? ইশশ্, পূরণ করতে পারলাম না। সত্যিই খুব খারাপ লাগছে।
প্রশ্ন: অথচ আপনি অপর্ণা সেনের সঙ্গে ছবি করলেন, গৌতম ঘোষের ছবিতেও...
প্রিয়াংশু: ‘ইতি মৃণালিনী’তে অপর্ণা সেনের নায়ক। গৌতমদার তিনটি ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। প্রতীম ডি গুপ্তর সঙ্গে কাজ করলাম। লোকে ‘মনের মানুষ’, ‘শঙ্খচিল’ কিংবা অপর্ণা সেনের ছবি নিয়ে কথাই বলল না! কেবলই সকলের মুখে ‘তুম বিন’! কেন এ রকম হল, নিজেও জানি না! এই সে দিনও আমায় এক প্রযোজনা সংস্থা থেকে বলল, “আপনিই তো ‘তুম বিন’ ছবির নায়ক?”... কী যে করি!
সায়ন্তন ঘোষালের ‘রবীন্দ্র কাব্য রহস্য’ ছবিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকায় প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
প্রশ্ন: খারাপ লাগে না?
প্রিয়াংশু: (হাসি থামিয়ে) বিশ্বাস করুন, একটুও লাগে না। আমার হাতে তো কিছু নেই। তাই কোথাও আটকে গিয়েছি, এটা মনে করি না।
প্রশ্ন: অভিনয় দুনিয়া আপনাকেই দায়ী করেন। বলে, আপনি ভাল চরিত্রের জন্য পরিচালকদের কাছে যান না...
প্রিয়াংশু: (গম্ভীর হয়ে) ঠিকই বলে। যাই না তো। আমায় পরিচালক ডেকে যা দেন তাতেই খুশি। শুটিংয়ের পর পার্টি করি না। সোশ্যাল মিডিয়ায় সারা ক্ষণ পড়ে থাকি না। নায়ক না হয়ে প্রিয়াংশু চরিত্রাভিনেতা হয়ে গেল। কোনও আপত্তি নেই। কত রকমের চরিত্রে অভিনয় করে ফেললাম!
প্রশ্ন: আপনার পরে এসে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, টোটা রায়চৌধুরী, যিশু সেনগুপ্ত, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলিউডে উন্নতি করে ফেললেন...
প্রিয়াংশু: (এ বার সোজা হয়ে বসলেন) উন্নতি বলতে আপনি কী বোঝেন? বিপরীতে সুন্দরী নায়িকা! কোটির ক্লাবে ছবি! বড় বাণিজ্য— এইগুলোই তো? এতে কি বিনোদন দুনিয়ার ধারা বদলে গেল? আমি একে উন্নতি বলে মনেই করি না। আমার সুন্দরী নায়িকা, কোটি ক্লাবের ছবির দরকার নেই। আমি কোনও ‘মাইলস্টোন’ গড়তে পারলাম? আমার কাজ কি অভিনয় দুনিয়ার কিছু বদলাতে পারল? পারলে আমি উন্নতি করেছি। না পারলে ব্যর্থ। সে দিক থেকে বলতে পারেন, সত্যিই উন্নতি করা হয়ে ওঠেনি।
প্রশ্ন: ২৪ বছরে অপর্ণা সেন, গৌতম ঘোষ হয়ে সায়ন্তন ঘোষাল—প্রিয়াংশু বিনোদন দুনিয়ার পরিবর্তনের সাক্ষী...
প্রিয়াংশু: বলতে পারেন। আগের প্রজন্মের চেয়ে এই প্রজন্ম খুব দ্রুত কাজ করে। কারণ, এদের ওয়েব সিরিজ়, ধারাবাহিক, সিনেমা— সব বানাতে হচ্ছে। রিনাদি বা গৌতম একটা ছবির পিছনে প্রচণ্ড খাটতেন। অনেক সময় একটা ছবি বানাতে বছর ঘুরে যেত। এখন সব কিছুই খুব সহজ হয়ে গিয়েছে।
প্রশ্ন: যেমন?
প্রিয়াংশু: যেমন, ডিজ়িটাল ক্যামেরা। ‘শূন্য অঙ্ক’ ছবিতে প্রথম ফাইভ ডি ক্যামে শুট করেছিলাম। গৌতমদার সহকারী তাঁর ছেলে ঈশান। ১৫ বছর আগের ঘটনা। ঈশান ক্যামেরা নিয়ে যেন খেলছিল! ঈশান বা ওর বয়সিরা জন্মেই ডিজ়িটাল ক্যামেরা দেখেছে। ফলে, ওরা আগের প্রজন্মের পরিশ্রমটাই বোঝে না। বিনোদন দুনিয়ার নিয়মটাই যেন বদলে গিয়েছে। আগে ১০-২০ বার মহড়ার পর একটা শট নেওয়া হত। আমার কাজের শুরুতে কোনও মনিটর ছিল না। নিজের কাজ দেখার জন্য আমরা পুরো শট শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতাম। পরিচালক, চিত্রগ্রাহকের মুখের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করতাম। এখন চাইলে যে কেউ মোবাইলে আপনার অভিনয়ের টুকরো অংশ ধরে মতামত জানাতে পারেন।
প্রশ্ন: এটা ভাল না খারাপ?
প্রিয়াংশু: মনে হয় খারাপই হল। অভিনয় আমার কাছে ধ্যানের সমান। গভীরে প্রবেশ করে চরিত্র হয়ে ওঠা। এখন সে সব কোথায়! কেন যে কেউ আমার অভিনয় নিয়ে কথা বলবেন? মতামত দেবেন? আমি তো জানি, আমি কী করেছি বা করছি! মাঝে মধ্যে নিজেকে ডাইনোসর যুগের মনে হয়। এখন কেউ শট দেওয়ার আগে মহড়াও দেন না! সেটে এসে একটাই কথা, ‘ক্যামেরা চালু করুন’। সারা ক্ষণ ক্যামেরা চালুই থাকে! কোন খুশিতে ‘অন’? কেউ বলতে পারবেন না। সেটের সব কিছু রেকর্ড হচ্ছে। নিয়মানুবর্তিতা বিদায় নিয়েছে। সারা ক্ষণ ক্যামেরা চালু রাখাটাই অভিনয় দুনিয়ার নতুন রীতি। আমি নিজেকে সেই ছাঁচে ফেলার চেষ্টা করছি। যখনই ক্যামেরা দেখি মনে হয়, এখনই বোধহয় চালু হয়ে যাবে। আমি এখন সব সময় সজাগ, সতর্ক। নিজেকে প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছি।
প্রশ্ন: পুরোটা হচ্ছে কই? এত সুন্দর একজন অভিনেতা। অথচ কোনও গসিপ নেই! তারকাসুলভ আচরণও নেই...
প্রিয়াংশু: নেই তো। কারণ, আমি তারকা নই, চরিত্রাভিনেতা। আর প্রেম, পরকীয়া বলছেন? আমি ভীষণ বোরিং, একঘেয়ে। কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে গেলে প্রেম হবে? এই যে আপনাকে উত্তর দিচ্ছি, নিজেকে নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কেমন যেন হতাশায় ডুবে যাচ্ছি! দেখুন না, আপনারা যদি একটা প্রেম ঘটিয়ে দিতে পারেন... (হাসির দাপটে মুখ-চোখ লাল!)।
‘রবীন্দ্র রহস্য কাব্য’ ছবির ‘রবীন্দ্রনাথ’ প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
প্রশ্ন: ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের সঙ্গে আপনাকে নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল না?
প্রিয়াংশু: হলে তো বেশ হত। কিন্তু হল কই? ‘দিল কা রিস্তা’ ছবিতে নায়িকা ঐশ্বর্যা তো মরেই গেল! পরিচালক গুঞ্জন ছড়ানোর অবকাশই দিলেন না...(ফের হাসি)।
প্রশ্ন: কলকাতায় কী প্ল্যান?
প্রিয়াংশু: তেমন কিচ্ছু না। ছবির প্রচার করব। প্রযোজনা সংস্থা ভালমন্দ খাওয়ালে খাব। কাজ ফুরোলে মুম্বই ফিরে যাব।
প্রশ্ন: বাংলা ছবি দেখবেন না?
প্রিয়াংশু: নাহ্! এ বারটা আর হবে না।
প্রশ্ন: সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে অভিনয়?
প্রিয়াংশু: ওঁরা ডাকলে আর আমার চরিত্র পছন্দ হলে অবশ্যই করব।
প্রশ্ন: পরিচালনা বা রাজনীতিতে আসবেন?
প্রিয়াংশু: (ছদ্ম কোপে কপাল চাপড়ে) নাহ্! আপনি দেখছি আমায় সুখে থাকতে দেবেন না। অভিনয় দুনিয়াতেই নাকি নিজেকে প্রমাণ করতে পারলাম না, আবার পরিচালনায়! খেপেছেন? রাজনীতিও আসে না।
প্রশ্ন: রবীন্দ্রনাথ যদি এই যুগে জন্মাতেন তা হলে কোনটা বেশি লিখতেন?
প্রিয়াংশু: রোম্যান্টিক থ্রিলার! ওঁর অনেক প্রেম...
সাক্ষাৎকার শেষ। পরের সাংবাদিকের জন্য নিজেকে গোছাচ্ছেন অভিনেতা। বিদায় জানাতেই ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি। প্রিয়াংশু মান্না দে-র গান গুনগুনিয়ে উঠলেন, ‘এ দেখাই শেষ দেখা নয় তো...!’