অমাল
তাঁর বয়স মাত্র সাতাশ। ইতিমধ্যেই তাঁর সুর গুনগুন করছে অনেকের মনে। ধীরে ধীরে পরিচিত হচ্ছেন অমাল মালিক। তবে সাফল্য মাথা ঘুরিয়ে দেয়নি তাঁর। সাংবাদিক সম্মেলনে দু’ঘণ্টা দেরিতে এলেও প্রথমেই হাসিমুখে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিলেন। ঝটিতি সম্মেলন শেষে বসলেন সাক্ষাৎকারে।
প্র: জ্যোতিষে বিশ্বাস করেন নাকি! (হাতের খয়েরিরঙা পাথর দেখে)
উ: আরে না। মা পরিয়ে দিয়েছে। আপনি জানেন, এটা কী? কী কাজ?
প্র: মা দিয়েছেন যখন, নিশ্চয়ই মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য!
উ: ঠিক বলেছেন। আমার তা হলে এটার খুবই দরকার!
প্র: কিন্তু আপনি তো দিব্যি শান্তশিষ্ট। অন্তত আপনার ভাইয়ের (আরমান) চেয়ে তো বেশিই।
উ: আরে আরমান বেশি শান্ত। একদম সাইলেন্ট কিড। তাই লোকে খুব ভুল বোঝে ওকে।
প্র: এত কম বয়সে সাফল্য পাওয়াটা কতটা জরুরি ছিল?
উ: ঠিক জরুরি নয়। তবে স্বপ্ন ছিল। আমার লক্ষ্য ছিল, মা-বাবা বু়ড়ো হওয়ার আগেই পরিচিত হব। যাতে ওঁদের বলতে পারি, আমি নালায়েক নই। এটাও চেয়েছিলাম যে, ওঁরা আমার সাফল্যটা উপভোগ করুন। আমার বাবা যখন মিউজিক কম্পোজ করতে শুরু করেন, তখন ঠাকুরদা (সর্দার মালিক) ভীষণ অসুস্থ। ইন্ডাস্ট্রি তো কারও জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকে না। ঠাকুরদার জন্য বাবাকে নিজের স্বপ্ন ছাড়তে হয়। বাবা এত ভাল মানুষ, তাই ওঁর প্রাপ্যটা ওঁকে দেওয়া উচিত।
প্র: আপনার পার্টিওয়ালা ‘কর গ্যয়ি চুল’ যতটা জনপ্রিয়, ততটাই লোকে ভালবেসেছে রোম্যান্টিক ‘সোচ না সকে’। কোন ধরনের সুর নিজে বেশি পছন্দ করেন?
উ: আই হেট পার্টি নাম্বারস। যদিও ‘সও আসমানো’, ‘সুরজ ডুবা হ্যায়’ পপুলার হয়েছে। আমি ভালবাসি সফ্ট। ‘ম্যায় রহুঁ ইয়া না রহুঁ’ বা ‘বোল দো না জরা’র মতো গান। আসলে এটাই আমার ভিতরের মিউজিশিয়ান সত্তা যা সফ্ট গানের মাধ্যমে বেরিয়ে আসতে চায়!
প্র: কাকা অনু মালিকের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন?
উ: (একটু থেমে) ঠিকঠাক। মানে যতটা খারাপ ভাবছেন, ততটা হয়তো নয়। আফটার অল, আমার বাবার ভাই হন। প্রায় ৪০ বছরের অসাধারণ কেরিয়ার থাকার পরও উনি মনের দিক থেকে আমার চেয়েও ইয়ং। হি ইজ স্টিল কমপিটিং উইথ মি। মানে আমার কোনও গান রিলিজ করলে ওঁর চেষ্টা থাকে কী ভাবে আরও ভাল গান বানানো যায়। সেটাই শেখা উচিত। আমার যখন ৬০ বছর বয়স হবে, আশা করব যে, এ রকমই যেন প্যাশনেট থাকি। আমি তো অলরেডি নিজের জোনে চিলড আউট! (হেসে)
প্র: অলরাউন্ডার হওয়াটা একটা ট্রেন্ড। যাঁরা সুর দিচ্ছেন, তাঁরা গানও করছেন। এটা কতটা জরুরি?
উ: সকলকে দেখি ওয়েস্টার্ন সুরকারদের কথা বলেন। আমি মানি যে, হ্যারি গ্রেগসন উইলিয়ামস বা হ্যান্স জিমার দারুণ। কিন্তু বলিউডে সুরকারদের কাছ থেকে সব রকমের সুর চাওয়া হয়। মানে একটা বিশেষ জঁরের সুর হলে চলবে না। বিশাল ভরদ্বাজ যেমন জ্যাজ করছেন, তেমনই বানাচ্ছেন ইন্ডিয়ান ক্ল্যাসিকাল, সফ্ট রক। প্রিতমদা’কে দেখুন। ‘বরফি’র মতো ছবির পর ‘ইয়ে জওয়ানি...’তেও দারুণ কাজ করেছেন! এখানে সকলকে মাল্টি-জঁর জানতে হয়। তাই ইন্ডিয়ান কম্পোজারদের সঙ্গে টেক্কা দেওয়া কঠিন।
প্র: আপনি তো ট্রোল্ড হয়েছেন...
উ: অনেকেই আমাকে, আরমানকে ট্রোল করে। আমার ধারণা, যাদের কোনও পরিচয় নেই, তারা নিজেদের জাহির করার জন্য ট্রোল করে। আমাকে ট্রোল করলে আমি রিটুইট করে দিই। যাঁরা আমাকে ভালবাসেন, তাঁরাই বিষয়টা সামলে নেন। আমাকে নিজে থেকে লড়তে হয় না।
প্র: মেয়েরা তো অমালের সুর, চেহারা... দুটোই ভীষণ পছন্দ করে!
উ: আমি ভীষণ খুশি হই যখন দেখি, শ্রোতারা আমার সুরের সঙ্গে নিজেকে কানেক্ট করতে পারছেন। তবে গায়ক বলে আরমানের ফ্যান ফলোয়ার আমার চেয়ে বেশি। যদিও আমাদের মধ্যে এ নিয়ে বেশ ঝগড়া হয়!
প্র: আপনি কি সিঙ্গল?
উ: হ্যাঁ (আমতা আমতা করে)।
প্র: রেডি টু...
উ: নো। আই অ্যাম নট। আসলে একটা সিক্রেট রিলেশনশিপে আছি। সময় হলে ঠিক জানাব (হাসি)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy