‘বিয়ের ফুল’ সিরিয়ালের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে কোনও মহিলার প্রবেশ নিষেধ। এক কথায় ব্রহ্মচারী বাড়িতে নারীসঙ্গে মহাপাপ। তাই বাড়ির কোনও ভাই বিয়ে করেনি। ছোট ভাই স্বর্ণকুমার যদিও বিয়ে করেছে। তবে স্বর্ণের স্ত্রী কলিকে নিয়ে কেলেঙ্কারি কাণ্ড বাড়িতে। দাদু নিজের এবং নাতিদের সম্মান বাঁচাতে কলিকে গ্রামছাড়া করার পরিকল্পনা করেও কোনও লাভ হয়নি। বাড়ির রান্নার লোক সেজে কল্যাণ হয়ে এসেছে কলি। অন্য দিকে বাড়ির এক ভাই কিছুটা বিরক্তই হয়েছে। এত দিন বাড়িতে রান্না করে সকলকে খাইয়ে এসেছে দিগন্ত। কিন্তু কল্যাণ আসার পর সবাই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। শট শুরু হলে যতটা টানাটানি, শট কাটলেই শুরু আড্ডা। টালিগঞ্জের একটি স্টুডিয়োয় প্রতি দিন শুটিং হয় ‘বিয়ের ফুল’ সিরিয়ালের। এখানে নেই শাশুড়ি-বৌমার কোন্দল। শুধুই মজা আর মজা। এটাই নাকি এই গল্পের ‘ইউএসপি’, বলছেন সিরিয়ালের বাকি সদস্যেরা। সপ্তাহের সাত দিনই যে হেতু সম্প্রচার হয়, তাই ব্যাঙ্কিংয়ের চাপ অনেকটাই বেশি থাকে। তবু সিরিয়ালের অধিকাংশ সদস্য যখন পুরুষ হয়, তখন তাঁদের আড্ডা কেমন জমে কাজের ফাঁকে? তা জানতেই ফ্লোরে হাজির আনন্দবাজার অনলাইন।
স্বর্ণকুমার, দিগন্তরা শট দিচ্ছিলেন। ফলে সেটে একটু শব্দ হওয়ার উপায় নেই। একটানা বহু ক্ষণ অন্ধকার সেটে শট দেওয়ার পর খোলা হাওয়া পেতে ফ্লোরের বাইরে দেখা গেল দিগন্তদের। এই চরিত্রে দর্শক দেখছেন সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে যদিও খল চরিত্রে দেখতেই অভ্যস্ত সবাই। তবে ‘বিয়ের ফুল’-এ এমন চরিত্রে অভিনয় করা তাঁর কাছে অক্সিজেন নেওয়ার মতো। আনন্দবাজার অনলাইনকে সৌম্য বললেন, “এই গল্পটা এমন না। আমায় তো খলনায়কের চরিত্রে দেখেছেন সকলে। তবে দিগন্ত চরিত্রটার মধ্যে একটা অদ্ভুত ব্যাপার আছে। এখানে দিগন্তই সংসারটা গুছিয়ে রাখে। সকলকে রান্না করে খাওয়ায়। বাস্তবে আমি একা মানুষ। সব কিছু গুছিয়ে রাখতে ভালবাসি। সুতরাং কিছুটা মিল পাচ্ছি।”
অভিনয় করতে করতে তাঁরা যেন একটা পরিবারই হয়ে উঠেছেন। এই সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে দর্শক দেখছেন নবনীতা দাসকে। বিপরীতে রয়েছেন রাজা গোস্বামী। এই জুটিকে আগেও পর্দায় দেখা গিয়েছে। তবে এখন তাঁরা অনেকটাই পরিণত। এ দিন নবনীতার সময় পাওয়া অনেকটাই কঠিন হল। এক মুহূর্ত কথা বলার সময় ছিল না। তবে সময় দিলেন স্বর্ণকুমার। একটু সময় পেয়েছিলেন। তখনই আড্ডা জমল আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে। রাজা জানালেন, কাজের ফাঁকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের গল্প হয়। মেয়েদের সাজসজ্জার ঘরে যেমন গল্প হয়, ছেলেদের ক্ষেত্রেও কিন্তু তেমনটাই হয়।
রাজা বলেন, “আমাদের আড্ডায় রাজনীতির বিষয়টা কম থাকে। মূলত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি, বাইকের আলোচনা। আর থাকে খাওয়াদাওয়া। সৌম্যদা খুব গাড়ি ভালবাসে।” সব আড্ডার মাঝে রাজার অবশ্য একটাই বক্তব্য তিনি খুশি যে, এমন চরিত্রে অভিনয় করতে পারছেন। দর্শকের পছন্দ হচ্ছে। আগামী দিনে স্বর্ণ এবং কলির গল্প কোন দিকে মোড় নেবে, তা নিয়ে উত্তেজিত সিরিয়ালের নায়কও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy