Advertisement
E-Paper

স্বামী শিরীষের ‘মা’ তকমা পেয়েছিলেন ফরাহ! নিজের যত্ন নেওয়ার প্রসঙ্গে কী বললেন পরিচালক?

কথায় বলে, বাইরের রূপ দিয়ে কোনও কিছুর অন্দরের বিচার করা উচিত নয়। কিন্তু তা সব ক্ষেত্রে হয় কি? সম্প্রতি, সোহা আলি খানের সঙ্গে এক আলোচনায় ফরাহ এমনই এক মজার কাণ্ডের কথা বলেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১২:১৭
কেন স্বামী শিরীষের ‘মা’ তকমা পেয়েছিলেন ফরাহ? ছবি: সংগৃহীত।

কেন স্বামী শিরীষের ‘মা’ তকমা পেয়েছিলেন ফরাহ? ছবি: সংগৃহীত।

বিনোদন দুনিয়া মানেই চাকচিক্য, গ্ল্যামারের ছোঁয়া। অভিনেতা থেকে পরিচালক-গায়ক-প্রযোজক— প্রায় সকলেই নিজেদের বাইরের রূপের দিকে বিশেষ নজর দেন। তবে তারকা নৃত্যপ্রশিক্ষক ও পরিচালক ফরাহ খান পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত নিজেকে কেমন দেখতে, সে দিকে বিশেষ নজর ছিল না তাঁর। সেই কারণে নাকি একবার ফরাহকে, তাঁর বর শিরীষ কুন্দরের মা বলেও ভুল করা হয়েছিল।

কথায় বলে, বাহ্যিক রূপ দিয়ে কোনও কিছুর অন্দরের বিচার করা উচিত নয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা হয় কি? সম্প্রতি, সোহা আলি খানের সঙ্গে এক আলোচনায় ফরাহ এমনই এক মজার কাণ্ডের কথা বলেন। সন্তানদের জন্ম দেওয়ার আগে পর্যন্ত খুব রোগাই ছিলেন ফরাহ। তিনি রসিকতা করে বলেন, “আমি তো ‘ব্লো-ড্রাই’ পর্যন্ত করাতে যেতাম না। সকালের শিফ্‌ট, রাতের শিফ্‌ট একসঙ্গে করে লাগাতার কাজ করতাম আমি। কিন্তু ৫০ বছরে পা রেখে বুঝলাম গাড়ি পুরোনো হয়ে গেলে তার নিয়মিত মেরামতি প্রয়োজন পড়ে। তাকে তখন গ্যারাজে পাঠাতে হয়। তাই এখন আমি ত্বকের ডাক্তারের কাছে যাই। চুলে ভিটামিন নিই। আমার যখন ৫০ হয়, তখন আমার বাচ্চারা অনেকটাই ছোট। তখন ভাবি, যে বাচ্চাদের স্কুলে ছাড়তে ওদের ঠাকুমা আসছে, আমাকে দেখে যেন এমন না মনে হয়!”

স্মৃতির পাতা উল্টে ফরাহ জানান, পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন তিনি একবার। সেখানেই তাঁকে দেখে এক জন শিরীষের মা ভেবে বসেন। পরিচালক বলেন, “একবার বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে গিয়েছি। আমার তখন বেশ ভারী চেহারা। একজন মহিলা এলেন। শিরীষও ছিল সেখানে। মহিলা বলেন, ‘আপনাদের ঘর পরিষ্কার করে দেব? আপনার ছেলেকে (শিরীষ) বলবেন একটু বাইরে অপেক্ষা করতে?’ শিরীষ হাসতে হাসতে বাচ্চাদের গিয়ে বলে, ‘উনি ভেবেছেন আমি তোমাদের দাদা।’ ফলে আমি বুঝেছি যে ৫০-এর পর নিজের যত্ন নিতে হয়। ওজন কমাতে ৭ বছর সময় লেগেছে আমার।”

২০০৪ সালে ‘ম্যায় হুঁ না’র সেটে ফরাহ ও শিরীষের আলাপ। দীর্ঘ ক্ষণ একসঙ্গে কাজের ফাঁকেই সম্পর্ক গাঢ় হয়, যা পরে প্রেমে ও বিয়েতে পরিণতি পায়। ওই বছরেই গাঁটছড়া বাঁধেন তাঁরা। ২০০৮ সালে আইভিএফ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিন সন্তানের জন্ম দেন তাঁরা।

Farah khan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy