(বাঁ দিকে) নাতাশা মাধবনী (ডান দিকে) ফরদিন খান ছবি : সংগৃহীত।
দিন দুয়েক আগে হঠাৎই প্রকাশ্যে আসে, বিবাহবিচ্ছেদ হতে চলেছে ফরদিন খানের। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মুমতাজ-কন্যা নাতাশা মাধবনীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেতা। ধুমধাম করেই বিয়ে হয় তাঁদের প্রায় বছর ১৮ আগে। ফরদিনের জীবনের একাধিক চড়াই-উতরাইতে সদা সঙ্গ দিয়েছেন নাতাশা। তবে হঠাৎই ছন্দপতন ঘটল। অশান্তির কালো মেঘ তাঁদের সংসারে। কী কারণে বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা?
দুই সন্তানের বাবা-মা ফরদিন ও নাতাশা। এক কন্যা ও এক পুত্র রয়েছে তাঁদের। শোনা যাচ্ছে, সন্তানদের কারণেই নাকি অশান্তির সূত্রপাত। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে নাতাশা। তিনি চান, ছেলে মেয়েরা দুবাইতে গিয়ে পড়ুক। অন্য দিকে ফরদিনের ইচ্ছা, মুম্বইতেই থাকুক তাঁর দুই সন্তান। সেখান থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত। এ ছাড়াও অভিনেতার ঘনিষ্ঠ মহল থেকে জানা গিয়েছে, বিগত দু’বছর ধরেই স্ত্রীর থেকে আলদা থাকেন অভিনেতা। বার কয়েক নাকি চেষ্টা করেছিলেন মিটমাট করে নেওয়ার। তবে ক্রমেই তাঁরা বুঝতে পারেন যে, তাঁদের দাম্পত্যে ভালবাসা বেঁচে নেই। এ ছাড়াও ২০০৯ সালে ফরদিনের বাবা ফিরোজ খানের মৃত্যুর পর থেকেই নাকি তাঁদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। শ্বশুরের ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া, তাঁর যত্ন নেওয়া, সবটাই দায়িত্ব নিয়ে করেন নাতাশা। বাবার মৃত্যুর পর মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন ফরদিনও।
এই মুহূর্তে মাকে নিয়ে মুম্বইয়ে রয়েছেন ফরদিন। অন্য দিকে, অভিনেতার স্ত্রী দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে লন্ডনে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেছেন। যদিও এই বিষয়ে অভিনেতার তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
বাবা ফিরোজ খানের হাত ধরেই অভিনয় আসা। বেশ কিছু ছবি করলেও অন্য তারকা-সন্তানদের মতো সাফল্য পাওয়া হয়নি ফরদিনের। ২০১০ সালের শেষে তাঁকে ‘দুলহা মিল গয়া’ ছবিতে দেখা যায়। এক সময় মাদক মামলায় নাম জড়ায় ফরদিনের। তার পর থেকেই তাঁর কেরিয়ার অস্তমিত। দীর্ঘ সময় প্রচারের আলো থেকে দূরেই ছিলেন অভিনেতা। এ বার ১২ বছর পর ‘বিস্ফোট’ ছবির দিয়ে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন তিনি। এ ছাড়াও সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘হীরামন্ডি’ সিরিজ়ে দেখা যাবে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy