Advertisement
E-Paper

‘সারাদিন কাঁদতাম’, মা হওয়ার চেষ্টায় দু’বার ব্যর্থ হন, দেহের অবশিষ্ট ডিম্বাণুকেই সম্বল করেছিলেন ফরাহ

২০০৪ সালে শিরীষ কুন্দরকে বিয়ে করেছিলেন ফরাহ। ২০০৮ সালে আইভিএফ-এর মাধ্যমে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:১১
আইভিএফ-এর মাধ্যমে মা হন ফরাহ।

আইভিএফ-এর মাধ্যমে মা হন ফরাহ। ছবি: সংগৃহীত।

আইভিএফ-এর মাধ্যমে তিন সন্তানের মা হন ফরাহ খান। তবে তার আগে দু’বার মা হতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন পরিচালক। সম্প্রতি সানিয়া মির্জ়ার সাক্ষাৎকারে মনের কথা উজাড় করে বললেন ফরাহ।

২০০৪ সালে শিরীষ কুন্দরকে বিয়ে করেছিলেন ফারহা। ২০০৮ সালে আইভিএফ-এর মাধ্যমে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। তবে তার আগে আরও দু’বার আইভিএফ-এর মাধ্যমেই মা হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ফরাহ। পরিচালক তথা নৃত্যপ্রশিক্ষক বলেছেন, “আইভিএফ পদ্ধতিতে আমি দু’বার ব্যর্থ হয়েছি। তখন খুব কাঁদতাম। কেঁদেই দিন কেটে যেত। হরমোনের জন্য আরও বেশি কান্না পেত। আর তখনই কিন্তু ‘ওম শান্তি ওম’ ছবির শুটিং করছিলাম।”

কেন আইভিএফ-এর মাধ্যমে সন্তানধারণ করেছিলেন ফরাহ? পরিচালক পুরনো এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমি দেরিতে বিয়ে করেছি, তাই সন্তানধারণও দেরিতে করেছি। আমি যখন বিয়ে করি, তখন আমার বয়স ৪০। বিয়ের পরে আমরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সন্তানধারণের চেষ্টা করেছিলাম। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছেও গিয়েছিলাম। আমি নিজেই বলেছিলাম, ‘আমার তো বয়স বেশি, এই ভাবে কি সন্তানধারণ করা যাবে?’ তখন উনিই বলেছিলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করে কোনও লাভ হবে না।”

এর পরে আইভিএফ-এর আশ্রয় নিয়েছিলেন ফরাহ। কিন্তু প্রথম দু’বারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। অবশেষে ৪২ পেরিয়ে যাওয়ার পরে ফরাহ ভেবেছিলেন, কয়েকটি মাত্র ডিম্বাণু অবশিষ্ট রয়েছে তাঁর দেহে। তাই এটিই তাঁর অন্তিম চেষ্টা। অবশেষে তৃতীয় চেষ্টায় সফল হন তিনি। ত্রয়ী সন্তান— এক পুত্র ও দুই কন্যার মা হন তিনি।

Farha Khan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy